নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন কুর্দিস্তান ওয়ার্কাস পার্টির (পিকেকে) জঙ্গিরা উত্তর ইরাকের একটি গুহায় অপহৃত ১৩ তুর্কিকে হত্যা করেছে। ১৪ ফেব্রুয়ারি রোববার তুরস্কের কর্মকর্তারা এ হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি জানায় বলে খবর প্রকাশ করেছে রয়টার্স ও ডেইলি সাবাহ।
কর্মকর্তারা জানান, গত ১০ ফেব্রুয়ারি ইরাকের উত্তরাঞ্চলীয় গারা অঞ্চলে পিকেকের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করে তুরস্ক। অভিযান চলার মধ্যেই এমন ঘটনা ঘটলো। যাদের হত্যা করা হয়েছে তাদের মধ্যে সেনা ও পুলিশ সদস্যরাও রয়েছেন।
তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হুলুসি আকার এক বিবৃতিতে জানান, সামরিক অভিযান চলাকালে ৪৮ জন পিকেকে জঙ্গি নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে তুরস্কের তিন সেনা নিহত ও তিনজন আহত হয়েছেন। অপহৃত তুর্কিদের মধ্যে ১২ জনকে মাথায় ও একজনকে কাঁধে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি বিবৃতিতে আরও বলেন, প্রাথমিক তদন্তে পরিস্কার হয়েছে আমাদের নিষ্পাপ ও নিরস্ত্র ১ত নাগরিককে গুলি করে শহীদ করা হয়েছে। আমাদের ক্ল-ঈগল ২ অভিযানের কার্যক্রম চলার সময় এক সংঘর্ষের পর ওই গুহা নিয়ন্ত্রণে নেয়া হলে আমাদের এই ১৩ নাগরিকের লাশের সন্ধান পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন : সাভার থেকে অপহৃত শিশুকন্যা রংপুরে উদ্ধার
তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় মালাটিয়া প্রদেশের গভর্নর জানিয়েছেন, ওই গুহায় নিহতদের মধ্যে ছয়জন সেনা ও দুই পুলিশ কর্মকর্তা রয়েছেন যাদের ২০১৫ ও ২০১৬ সালে দুটি পৃথক ঘটনায় অপহরণ করা হয়েছিল। নিহতদের মধ্যে বাকি তিনজনের পরিচয় এখনও শনাক্ত করা যায়নি।
নিহতদের মধ্যে তুরস্কের গোয়েন্দা কর্মীরাও রয়েছেন বলে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন : বাগদাদে আত্মঘাতী হামলায় নিহত ২৮
এদিকে পিকেকের ওয়েবসাইটে দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ওই এলাকায় সংঘর্ষ চলাকালে তাদের কাছে থাকা কিছু বন্দি মারা গেছেন যাদের মধ্যে তুরস্কের গোয়েন্দা, পুলিশ ও সামরিক বাহিনীর সদস্যরা রয়েছেন। তবে তারা কখনো কোনো বন্দিকে আঘাত করেনি বলে দাবি করেছে গোষ্ঠীটি।
কুর্দিস্তান ওয়ার্কাস পার্টির (পিকেকে) জঙ্গিরা ১৯৮৪ সাল থেকে তুরস্কের কুর্দি অধ্যুষিত দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে সশস্ত্র বিদ্রোহ শুরু করে। তারপর থেকে ওই অঞ্চলে তুরস্কের নিরাপত্তা বাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে লড়াইয়ে এ পর্যন্ত ৪০ হাজারেরও বেশি লোক নিহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন : ইরাকে আত্মঘাতী হামলায় নিহত বেড়ে ৩২, আইএসের দায় স্বীকার
ভয়েস টিভি/এমএইচ