লিবিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে পাচারকারীদের পরিচালিত একটি গোপন কারাগারে অভিযান চালিয়ে ১৫৬ অভিবাসীকে উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৫ নারী ও পাঁচ শিশু রয়েছে। একই সঙ্গে ছয় পাচারকারীকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটি।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। অভিবাসীরা সেখানে নির্যাতনের শিকার হয়েছে বলে জানিয়েছে।
জানা গেছে, দেশটির কুফরা শহরের একটি বাড়িকে বানানো হয়েছিলো ওই গোপন কারাগার। সেখান থেকে পালিয়ে আসা এক অভিবাসী আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে খবর দেয়ার পর সেখানে অভিযান চালানো হয়।
কুফরা নিরাপত্তা ব্যুরো জানিয়েছে, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সেখানে অভিযান চালানো হয়। গত ২১ ফেব্রুয়ারি রোববার দেশটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই ঘটনায় ছয় পাচারকারীকে আটক করে আরও তদন্ত চালাতে তাদের প্রসিকিউটরদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ওই গোপন কারাগার থেকে ছাড়া পাওয়া অভিবাসীরা সোমালিয়া, ইরিত্রিয়া ও সুদানের নাগরিক। তাদের আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে খাবার, পোশাক ও কম্বল দেয়া হয়েছে।
সংঘাত কবলিত দেশ লিবিয়াকে ব্যবহার করা হয় ইউরোপে পাচারের রুট হিসেবে। আফ্রিকা ও আরব দেশগুলো থেকে পালিয়ে আসা অভিবাসীরা লিবিয়া থেকে ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টা করে। আর এই সুযোগ কাজে লাগায় পাচারকারীরা।
রাবারের নৌকায় করে সাগর পথে এসব অভিবাসীদে ইউরোপে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চালানো হয়। এসব ঘটনায় নৌকা ডুবে বহু অভিবাসীর মৃত্যু হয়েছে। তারপরও থামেনি এই বিপজ্জনক প্রচেষ্টা।
ভয়েস টিভি/এমএইচ