রোহিঙ্গা সঙ্কটের দ্রুত সমাধানে আরও বেশি মনোনিবেশের জন্য জাতিসংঘ মহাসচিবের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাবাব ফাতিমা। অন্যথায় এ অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা দেখা দিতে পারে বলেও সতর্ক করে দিয়েছেন তিনি।
৩০ জানুয়ারি শনিবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ হলে মহাসচিব আন্তমোনিও গুতেরেজ উত্থাপিত জাতিসংঘের বার্ষিক প্রতিবেদন এবং ২০২১ সালের অগ্রাধিকারসমূহের ওপর আয়োজিত ব্রিফিংয়ে বক্তব্য প্রদানকালে এই আহ্বান জানান বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি।
ফাতিমা সভাকে স্মরণ করিয়ে দেন, বাংলাদেশ ১.১ মিলিয়ন জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে চলমান এই সংকটের টেকসই সমাধানে আরও সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
জাতিসংঘ মহাসচিবকে জটিল এই পরিস্থিতির প্রতি আরও বেশি মনোনিবেশের আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, যদি অতি দ্রুত এই রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করা না হয়, তাহলে এই অঞ্চলে আরও অস্থিতিশীলতা দেখা দিতে পারে।
জাতিসংঘের সার্বিক কর্মকাণ্ডের ওপর কোভিড-১৯ এর তীব্র চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও জাতিসংঘকে সচল রাখার জন্য মহাসচিবকে ধন্যবাদ জানান রাষ্ট্রদূত ফাতিমা।
অতিমারির এ সংকট কাটিয়ে পুনরায় ভালো অবস্থায় ফিরে আসার জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে অংশীদারত্ব ও সংহতি গড়ে তোলার গুরুত্ব ও তাৎপর্যের কথা তুলে ধরেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা। তিনি বলেন, ‘কোভিড-১৯ মোকাবিলায় কার্যকর সাড়াদান ও পুনরুদ্ধারে অবশ্যই অগ্রাধিকারভিত্তিতে সবার জন্য টিকা নিশ্চিত করতে হবে।’
বিভিন্ন দেশ ও জাতিসমূহের মধ্যে আসন্ন ‘টিকা বৈষম্য’ কাটিয়ে তুলতে প্রয়োজন ন্যায়সঙ্গত, নিরাপদ ও সাশ্রয়ী মূল্যের করোনা টিকার বিশ্বব্যাপী প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা যার নেতৃত্ব দিতে পারে জাতিসংঘ। বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি আরও বলেন, টিকার উৎপাদন পর্যায়ে যেভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, বিতরণের ক্ষেত্রেও একইরকম গুরুত্ব দিতে হবে।
ভয়েস টিভি/এসএফ