Home সারাদেশ অ্যাসাইনমেন্টের নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়

অ্যাসাইনমেন্টের নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়

by Newsroom
অনির্দিষ্টকালের

পাবনার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হোম অ্যাসাইনমেন্টের নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

১৫ নভেম্বর রোববার সকালে পাবনা জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ জেলা উন্নয়ন কমিটির সভায় হোম অ্যাসাইনমেন্ট পরীক্ষার নামে অর্থ আদায়ের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।

তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন, সরকারি সিন্ধান্তনুযায়ী কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে হোম অ্যাসাইনমেন্ট পরীক্ষার নামে অর্থ আদায় করলে সেই সব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এমন ঘোষণার দেয়ার একদিন পরই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অর্থ আদায়ের অভিযোগ ওঠে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পাবনার আটঘরিয়া উপজেলায় বেশ কিছু উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদরাসায় হোম অ্যাসাইনমেন্ট পরীক্ষার নামে মৌখিক ও রশিদের মাধ্যমে ইচ্ছে মাফিক টাকা নেয়া হচ্ছে। বেড়ার বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেও এই অভিযোগ রয়েছে।

তথ্য মতে, বেড়া বালিকা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ও নাকালিয়া সাড়াশিয়া বনিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে হোম অ্যাসাইমেন্ট পরীক্ষার নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের বাধ্য করে শ্রেণি ভেদে ২০০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত আদায় করা হচ্ছে। এ ঘটনায় অভিভাবকদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

এর আগে মহামারী প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের জন্যে বার্ষিক পরীক্ষার পরিবর্তে হোম অ্যাসাইমেন্টর প্রশ্ন পূরণ করে শিক্ষার ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে শিক্ষা অধিদফতর থেকে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে না গিয়ে বাড়িতে বসে হোম অ্যাসাইমেন্ট তৈরি করে স্কুলে পৌছে দেয়ার জন্যে বলা হয়েছে।

এর জন্যে ৩ নভেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু সেই নিয়মের তোয়াক্কা না করে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ডেকে নিয়ে শিক্ষার্থীর নিকট থেকে জোর করে টাকা আদায় করছেন প্রতিষ্ঠান প্রধানরা।

এ ব্যাপারে একাধিক অভিভাবক অভিযোগ করে বলেন, করোনার মধ্যে স্কুল বন্ধ ছিল। আমদেরও কোনো আয় ছিলো না। প্রধান শিক্ষক প্রতিষ্ঠান পরিচালনা কমিটিকে ম্যানেজ করে হোম অ্যাসাইমেন্টর নামে বকেয়া বেতন ও সেশন ফি, বিদ্যুৎ বিল ও বিদ্যালয়ের উন্নয়ন ফিসহ বিভিন্ন খাতে অর্থ আদায় করছেন।

বেড়া বালিকা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নায়েব আলী বলেন, করোনাকালে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা আদায় না করার ব্যাপারে সরকারি কোন নির্দেশনা নেই। তাই শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বকেয়া বেতনসহ অন্যান্য খাতে টাকা নেয়া হচ্ছে।

প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসাহাক হাজীর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

আটঘরিয়া উপজেলার বেশ কয়েকটি বিদ্যালয়ের চিত্র একই ধরণের। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বললে তারা কোনো সদুত্তর দেননি।

বেড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা খবির উদ্দিন জানান, শিক্ষার্থীদের হোম অ্যাসাইমেন্টের সময় কোনো ধরনের ফি বা বেতন না নেয়ার জন্যে উপজেলার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের জানিয়ে দেয়া হয়েছে। তারপরও কেউ আদেশ অমান্য করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ভয়েস টিভি/এমএইচ

You may also like