আন্তর্জাতিক স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত অ্যাথলেট মো. সোহেলসহ তার তিন ভাইকে পিটিয়ে আহত করেছে প্রতিবেশী মোশাররফ হোসেন। অভিযোগ রয়েছে, মামলা করায় হত্যার হুমকিও দিচ্ছে ওই প্রতিবেশী।
ময়মনসিংহ সদর উপজেলার সিরতা ইউনিয়নের চড় খরিচা গ্রামের মো. আব্দুল জলিলের ছেলে অ্যাথলেট মো. সোহেল।
আহত অন্যান্যরা হলেন- মো. সোহেলের ভাই রেজাউল করিম মিন্টু (৪০), আশরাফুল ইসলাম (৩৫) ও শাহ আলম কবির (২৫)।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এ ঘটনায় ১৯ নভেম্বর বৃহস্পতিবার অ্যাথলেট মো. সোহেল ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বাড়িতে ফিরে এসেছেন। এর আগে গত ১৬ নভেম্বর জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সোহেলসহ তিন ভাইকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। ওইদিন রাতেই শাহ আলম বাদী হয়ে মোশাররফসহ ১০ জনকে আসামি করে কোতোয়ালী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
অভিযুক্ত মোশাররফ হোসেন একই গ্রামের মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে। তিনি মামলা তুলে নেয়ার জন্য মো. সোহেলের পরিবারকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে।
অ্যাথলেট মো.সোহেল ১২ বছর বয়সেই বিকেএসপিতে ভর্তি হয়। ২০১৪ সালে ন্যাশনাল অ্যাথলেটিকস আয়োজিত জুনিয়র অ্যাথলেটস প্রতিযোগিতায় দুটি স্বর্ণপদক ও এক ব্রোঞ্জ পদক, ২০১৫ সালে তিনটি স্বর্ণপদক ও দুটি সিলভার পদক, ২০১৬ সালে দুটি স্বর্ণপদক ও একটি সিলভার, ২০১৭ সালে তিনটি স্বর্ণপদক ও একটি সিলভার পদক, ২০১৮ সালে তিনটি স্বর্ণপদক ও দুটি সিলভার পদক লাভ করেন।
এছাড়া ইন্টারন্যাশনাল অ্যাথলেটিকস এসোসিয়েশন আয়োজিত ২০১৯ সালের এশিয়ান জুনিয়র গেমস হংকংয়ে সফলতার সঙ্গে অংশগ্রহণ করেন। ২০১৯ ভারতে আয়োজিত এসিএবি কাপ অ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে একটি স্বর্ণ ও একটি রোপা পদক লাভ করেন।
অ্যাথলেট সোহেল বলেন, ময়মনসিংহের চড় খরিচা বাজারে গত ২২ বছর ধরে ২২ শতাংশ জমি আমরা ভোগ দখল করে আসছি। সম্প্রতি একই এলাকার মৃত আইন উদ্দিনের ছেলে সাজু জমির অংশীদার দাবি করেন। এমতাবস্তায় গত ১৬ নভেম্বর জমিতে দোকান তৈরীর কাজ করতে গেলে মোশাররফ হোসেন তার দলবল নিয়ে দোকান তৈরীর কাজে বাধা দেয় এবং মোশাররফ হোসেনের ২০-২২ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্রসহ আমাদের উপর হামলা চালায়। আমিসহ আমার তিনভাইকে কুপিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে স্থানীয়রা আমাদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে ১৯ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বাড়িতে ফিরে আসি।
অ্যাথলেট সোহেল আরও বলেন, মামলা করার পর থেকে একের একের এক আমাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। বিশেষ করে আমাকেই ওরা টার্গেট করেছে। আমি যেন আর খেলাধুলা করতে না পারি। আসামিরা প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করার পরও পুলিশ তাদের ধরছে না।
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ তালুকদার বলেন, কেউ যদি তাকে মামলা তুলে নেয়া বা হত্যার হুমকি দেয়, তাহলে অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আসামিদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
ভয়েসটিভি/এএস
