পিরোজপুরের কাউখালী বাজারে খাজনা তোলা নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা। তারা বলছেন, সরকার নির্ধারিত খাজনা থেকে কয়েকগুণ বেশি টাকা তুলছে ইজারাদার। আর খাজনা না দিলে শারিরীক নির্যাতনও করা হয়। এছাড়া খাজনা দেয়া কোনো রশিদ দেয়া হয় না। করোনা মহামারিতে অতিরিক্ত খাজনা ও দোকান ভাড়া দিতেও হিমশিম খাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
জানা গেছে, সরকারি নিয়মে মাছ-সবজিসহ দোকান প্রতি খাজনা আদায় হবে ৭ টাকা। কিন্তু নেয়া হচ্ছে ৭০ থেকে শুরু করে ৩০০ টাকা পর্যন্ত। এ খাজনা না দিলে নির্যাতনের শিকারও হচ্ছেন পিরোজপুরের কাউখালী বাজারের ব্যবসায়ীরা। পুরো বাজারের কোথাও টানানো হয়নি খাজনা দেয়ার তালিকা। ব্যবসায়িদের দেয়া হয় না খাজনা আদায়ের রশিদও। এনিয়ে পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোতে অভিযোগ তুলেও পাচ্ছেন না কোন প্রতিকার।
এদিকে, ব্যবসায়ীদের কোনো অভিযোগই মানতে চান না পিরোজপুর কাউখালী হাট-বাজার ইজারাদার শাহ আলম নসু। তার দাবি, সরকারের নিয়ম মেনেই হাট নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।
অন্যদিকে অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে কাউখালি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. খালেদা খাতুন রেখা শিগগির সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
অতিরিক্ত খাজনার ফাঁদ থেকে রক্ষায় ইজারাদার বাজারে সরকারি তালিকা টানিয়ে খাজনা আদায়ের রশিদ দেবে এমনটাই প্রত্যাশা ভুক্তভোগিদের।
ভয়েসটিভি/এএস