বাংলাদেশিদের জন্য ইতালিতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হয়েছে ১৪ অক্টোবর। এর আগে কয়েক দফায় এ মেয়াদ বাড়ানো হলেও এবার আর বাড়ছে না। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে এ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। এর ফলে ছুটিতে এসে আটকে পড়া প্রবাসীদের ফিরে যাওয়ার রাস্তা খুলল।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেন, যাদের অনুমতিপত্রের মেয়াদ আছে, শুধু তাদের জন্য নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হয়েছে। আপাতত নতুন করে কাউকে ভিসা দেয়া হবে না। তবে যাদের আবাসিক অনুমতিপত্রের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, ভিসার জন্য তাদের আবেদন বিবেচনা করা হবে। ইতালির পুলিশ তাদের তথ্য যাচাই করে জানানোর পর ভিসা দেয়া হবে। তাৎক্ষণিকভাবে এ যাচাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে বলে ইতালির রাষ্ট্রদূত নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে করোনা পরিস্থিতিতে কয়েক মাস বন্ধ থাকার পর গত ৭ জুলাই ভাড়া করে বিশেষ বিমানে করে ইতালি যান প্রবাসী বাংলাদেশিরা। সেখানে পৌঁছানোর পর ৭৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়। এরপর থেকেই বাংলাদেশিদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয় ইতালি। ইতোমধ্যেই অনেকের ইতালি থাকার আবাসিক অনুমতিপত্রের মেয়াদ শেষ হয়েছে। ফিরে যাওয়ার দাবিতে গত ১১ অক্টোবর ঢাকায় ইতালি দূতাবাসের সামনে মানববন্ধন করেন আটকে পড়া প্রবাসীরা। দূতাবাস থেকে ৭ দিন সময় চাওয়া হয় তখন।
ইতালিপ্রবাসীরা বলছেন, দেশে প্রায় ১৫ হাজার ইতালিপ্রবাসী আটকে আছেন। এদের মধ্যে অনেকেরই ইতালি থাকার আবাসিক অনুমতিপত্রের মেয়াদ শেষ হয়েছে। এখন সবাই একসঙ্গে টিকিট নিতে গেলে তৈরি হবে নতুন সংকট। ঢাকা থেকে ইতালির সরাসরি কোনো ফ্লাইট নেই। কয়েকটি এয়ারলাইনস কানেকটিং ফ্লাইট পরিচালনা করে। এসব এয়ারলাইনস চালু থাকায় তাদের অধিকাংশ আসনের টিকিট ইতোমধ্যেই বিক্রি হয়ে গেছে। তাই ভিড় সামলাতে চাপে পড়বে তারা।
এয়ারলাইনস কর্মকর্তারা বলছেন, করোনার জন্য ২৫ শতাংশ আসন ফাঁকা রাখার শর্ত তুলে দিলে বেশি যাত্রী নেয়া যাবে।
তার্কিশ এয়ারলাইনসের কর্মকর্তা (সেলস অ্যান্ড ট্রাফিক) ইজাজ কাদরি বলেন, চাপ সামলানোর প্রস্তুতি নিতে নিজেরা আলোচনা করছেন। ফ্লাইট বাড়ানোর সুযোগ নেই। আগামী রোববার থেকে টিকিট দেয়া শুরু হতে পারে।
ভয়েস টিভি/এসএফ
