ভয়েজ রিপোর্ট: এবারের ঈদের জামাত খোলামাঠ বা উম্মুক্ত স্থানে করা যাবে না । ঈদের জামাত হবে মসজিদে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ঈদের নামাজ আদায় করতে হবে। একই সঙ্গে ঈদের নামাজ শেষে কোলাকুলি করা যাবে না । হাত মেলানো থেকে বিরত থাকতে হবে।
ঈদুল ফিতরের জামাত নিয়ে বৃহস্পতিবার (১৪ মে) ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক নির্দেশনায় এ অনুরোধ জানানো হয়েছে। ঈদুল ফিতরের জামাতকে সামনে রেখে মোট ১৩টি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২৪ বা ২৫ মে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হতে পারে। কিন্তু বিশ্বব্যাপী মহামারী আকারে ছড়ানো করোনাভাইরাসের কারণে এবার ঈদের পরিবেশ ভিন্ন। করোনার বিস্তার রোধে গত ২৫ মার্চ থেকে সারাদেশে ছুটি চলছে। এক মাস বন্ধ ছিল মসজিদের সাধারণ মুসল্লিদের প্রবেশ।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আদেশে বলা হয়েছে, ইসলামি শরিয়তে ঈদগাহ বা খোলা জায়গায় ঈদের নামাজে উৎসাহিত করা হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে করোনা পরিস্থিেিত মুসল্লিদের জীবন ঝুঁকি বিবেচনা করে, এবছর ঈদগাহের পরিবর্তে মসজিদে ঈদ জামাত আয়োজনের অনুরোধ করা হলো। প্রয়োজনে একই মসজিদে একাধিক জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
গত ৭ মে থেকে ১২ শর্তে মসজিদে সাধারণ মুসল্লিদের নামাজ আদায়ের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। ঈদের জামাতেও এসব শর্ত মেনে চলতে হবে।
আদেশে বলা হয়েছে, ঈদের জামাতে কার্পেট বিছানো যাবে না। নামাজের পূর্বে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। মসজিদের প্রবেশ পথে হ্যান্ড স্যানিটাইজার, হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান ও পানি রাখতে হবে। প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসা থেকে ওজু করে মসজিদে আসতে হবে এবং ওজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। ঈদের নামাজের জামাতে আগত মুসল্লিকে অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে।