Home সারাদেশ ফরিদপুরে উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের জমি দঘল করে স্থাপনা

ফরিদপুরে উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের জমি দঘল করে স্থাপনা

by Newsroom

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার খরসূতির ময়না ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের জায়গা দখল করে স্থানীয়রা দোকানপাট নির্মাণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার জন্যে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নোটিশ দিলেও তোয়াক্কা করছে না দোকান মালিকরা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ময়না ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উত্তর পার্শ্বে রাস্তার সঙ্গে সরকারি জায়গা দখল করে ৮/১০টি দোকান ঘর গড়ে উঠেছে। আটজন দোকান মালিককে তাদের স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার জন্য গত ২৪ অক্টোবর নোটিশ প্রদান করেন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. তরিকুল ইসলাম। নোটিশে কাজ না হওয়ায় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর পত্র দিয়েছেন তিনি।

দখলদাররা হলেন, সাবেক ইউপি সদস্য মো. রুহুল আমীন, মো. আতিয়ার রহমান, মো. মমিন শেখ, মো. বাবুল শেখ, মো. তাজুল ইসলাম, মো. নজরুল ইসলাম, মো. জিয়া শেখ ও মো. সানোয়ার হোসেন। এরা সবাই আমগাছিডাঙ্গী গ্রামের।

উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. তরিকুল ইসলাম জানান, অবৈধ দখলদারদের নোটিশ করে দশ দিনের সময় দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা নোটিশের কর্ণপাত না করায় গত ৪ নভেম্বর বিষয়টি লিখিতভাবে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।

তিনি বলেন, জমিদার ঈশান চন্দ্র ঘোষের প্রতিষ্ঠিত দাতব্য চিকিৎসা কেন্দ্র ‘কালিতলা চিকিৎসালয়কে’ ১৯৭৫ সালে গণপ্রজান্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অধিগ্রহণ করে ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করে। এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের নয়টি দাগে মোট জমির পরিমান ৩ একর ৬৬ শতাংশ। এই জায়গা ব্যবহার না করলে ভবিষ্যতে আরও দখল হয়ে যেতে পারে।

জানতে চাইলে অভিযুক্ত মো. রুহুল আমীন বলেন, বেশ কয়েক বছর পূর্বে আমাদের জমির উপর দিয়ে সরকার একটি ব্রীজ নির্মাণ করে। স্থানীয় গণ্যমান্যরা তার পরিবর্তে কিছু জমি ভোগদখলের জন্যে আমাদের দান করে। ওই জমিতেই আমার একটি ঘর ছিলো। সেটি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় নতুন করে একটি ঘর তোলা হয়েছে। তারপরও সবাই দোকানঘর সরিয়ে নিলে আমার ঘরও আমি সরিয়ে নিবো।

অপর এক দোকান মালিক মো. নজরুল ইসলাম বলেন, নোটিশ পেয়েছি। কিন্তু কিছুই করার নেই। যদি ভেঙ্গে উচ্ছেদ করে দেয়; তাহলে আমি চলে যাবো।

এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. খালেদুর রহমান বলেন, উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসারের পত্র পাওয়ার পরই অবৈধ দখলদার উচ্ছেদে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে পত্র দেয়া হয়েছে।

বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঝোটন চন্দ বলেন, বিষয়টি অবহিত হয়ে একজন তহসিলদারকে পাঠানো হয়েছিল। দখলদাররা তার সঙ্গে খারাপ আচারণ করে। পরবর্তীতে সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তিনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

ভয়েস টিভি/এমএইচ

You may also like