Home রাজনীতি বিএনপি নেতার উসকানিমূলক বক্তব্যে দেশবাসী বিক্ষুব্ধ: কাদের

বিএনপি নেতার উসকানিমূলক বক্তব্যে দেশবাসী বিক্ষুব্ধ: কাদের

by Shohag Ferdaus
বিএনপি

রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশে বিএনপির এক নেতা দেশে আরেকটি ১৫ আগস্ট ঘটানোর যে ইঙ্গিতপূর্ণ ও উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন, তাতে দেশবাসী বিক্ষুব্ধ বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

এই বক্তব্য বিএনপির ফ্যাসিবাদী মানসিকতা, ষড়যন্ত্র এবং খুনের রাজনীতির চরিত্র স্পষ্ট হয়ে উঠেছে বলেও মনে করেন ওবায়দুল কাদের।

৫ মার্চ শুক্রবার ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবন থেকে এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন।

গত মঙ্গলবার রাজশাহীতে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও রাজশাহীর সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, পচাত্তরের ১৫ আগস্টের কথা মনে নেই আপনার? তার এ বক্তব্যে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।

ওবায়দুল কাদের বিএনপি নেতাদের কাছে প্রশ্ন রেখে বলেন, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ফজলে হোসেন বাদশা এবং রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ এ বিষয়ে প্রতিবাদ করলেও বিএনপির পক্ষ থেকে এর কোনো সুস্পষ্ট বক্তব্য দেওয়া হয়নি, তা হলে কি ধরে নেব এটি বিএনপির দলীয় বক্তব্য?

ওবায়দুল কাদের বলেন, জনগণ আশা করে বিএনপি এ বিষয়ে তাদের বক্তব্য স্পষ্ট করবে।

১৫ ও ২১ আগস্ট একই ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতা মন্তব্য করে সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেতার এ বক্তব্যে তাদের খুনের রাজনীতির স্বরূপ উন্মোচিত হয়েছে।

‘এই বক্তব্য থেকে স্পষ্ট বোঝা যায় বিএনপি এখনও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি করছে। এ ষড়যন্ত্রের জাল দেশ-বিদেশে বিস্তৃত। তাদের বক্তব্য লন্ডনের ছক অনুযায়ী গোপন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অংশ কিনা তাও খতিয়ে দেখা হবে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ইতোমধ্যে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ এ বক্তব্য প্রত্যাহারে ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে। আশা করছি কেন্দ্রীয় বিএনপি তাদের অবস্থান স্পষ্ট করবে।

সরকার নির্বাচিত নয়, জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে সরকারের পতন হবে- বিএনপি মহাসচিবের এ বক্তব্যের প্রতিবাদে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির এমন হুমকি-ধামকি আমরা বছরের পর বছর শুনেছি, তাদের আন্দোলন এবং সরকার পতনের ঘোষণার একযুগ পূর্তি হয়ে গেছে এরই মধ্যে। জনগণ এখনো কোনো আন্দোলন দেখতে পায়নি রাজপথে।

তিনি বলেন, ক্ষমতায় থাকাকালে বিএনপি সরকার পরিচালনায় একাধিক বিকল্প ক্ষমতাকেন্দ্র তৈরি করেছিলো। এখনো তাদের আন্দোলনের ডাক আসে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন ক্ষমতাকেন্দ্র থেকে। বিএনপি নেতারা ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের অন্ধ বিরোধিতা করছে, আইনটির যথাযথ প্রয়োগের ক্ষেত্রে কোনো ব্যত্যয় ঘটছে কিনা, সে বিষয়টির প্রতি সরকার কড়া নজর রাখছে। প্রযুক্তির এ যুগে জনস্বার্থেই এ আইন করা হয়েছে, আইনের অপপ্রয়োগ যাতে না হয়, সে বিষয়ে দেওয়া হয়েছে নির্দেশনা। বিএনপি এখন এ আইন নিয়ে মানবাধিকারের কথা বলছে, অথচ ১৯৭৫ এর হত্যাকাণ্ডের পর ইনডেমনিটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে জাতির পিতার খুনিদের বিচার চাওয়ার পথ বন্ধ করে দিয়েছিল।

ভয়েস টিভি/এসএফ

You may also like