পরীক্ষা ছাড়াই অবশেষে ২০২০ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৩০ জানুয়ারি শনিবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে গণভবন থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে যুক্ত হয়ে তিনি ল্যাপটপের বাটন টিপে ফলাফল ঘোষণা করেন।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ফলাফল ঘোষণার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয় ঢাকার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট। সেখানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
করোনাকালীন পরিস্থিতিতে শিক্ষা কার্যক্রমে বাধা ও ডিজিটাল পদ্ধতিতে শিক্ষা কার্যক্রমে একাধিক উদ্যোগের কথা উল্লেখ করেন তিনি।
এ সময় শিক্ষামন্ত্রীর হাতে ফলাফল হস্তান্তর করেন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানগণ। ফলাফলের জন্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভিড় না করার অনুরোধ করেন দীপুমনি।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে এবার পরীক্ষা ছাড়া এসএসসি, জেএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের গড় মূল্যায়ন করা হয়েছে। এবারও শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইটের পাশাপাশি যেকোনো মোবাইল থেকে এসএমএস করে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল জানা যাবে। মোবাইলে এসএমএসের পাশাপাশি নিজ নিজ শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট থেকেও ফল জানা যাবে।
এছাড়া জেলা প্রশাসক (ডিসি) এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) ই-মেইলে কেন্দ্র ও প্রতিষ্ঠানের ফল জানিয়ে দেওয়া হবে। প্রয়োজনে ডিসি ও ইউএনও অফিস থেকে ফলাফলের হার্ড কপি সংগ্রহ করা যাবে বলে আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটি জানিয়েছে।
গত বছর ১১টি শিক্ষা বোর্ডের ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭৮৯ জন শিক্ষার্থীর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা দেয়ার কথা ছিল। পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল সে বছরের ১ এপ্রিল। কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে শুরু করলে ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়।
এরপর গত ৭ অক্টোবর এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী পঞ্চম ও অষ্টমের সমাপনীর মতো এইচএসসি পরীক্ষাও বাতিলের সিদ্ধান্তের কথা জানান। পরে পরীক্ষা ছাড়াই ফল প্রকাশ করতে ২৭ জানুয়ারি আইন সংশোধন গেজেট প্রকাশ করে সরকার।
জেএসসি-জেডিসির ফলের ২৫ এবং এসএসসির ফলের ৭৫ শতাংশ বিবেচনায় নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিকের ফল ঘোষণা করা হয়েছে।
ভয়েস টিভি/এমএইচ