ময়মনসিংহের বাজারগুলো সব ধরনের সবজিতে ভরপুর। ফুলকপি, বাঁধাকপি, শালগম, মুলা, বেগুন, পাকা টমেটো কোনো কিছুর কমতি নেই। দিন দিন এসব সবজির সরবরাহ বাড়ছে। ফলে দাম কমছে। সামনে দাম আরও কমার কথা জানিয়েছেন বিক্রেতারা। আর কম দামে সবজি কিনতে পেরে খুশি ক্রেতারা। তারা জানিয়েছেন, এখন এক শ টাকা হলেই ব্যাগ ভরে সবজি কেনা যায়।
৫ মার্চ শুক্রবার ময়মনসিংহের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ভালো মানের দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা। দুই কেজি নিলে কোনো কোনো বিক্রেতা ২৮ টাকা রাখছেন। অথচ এই পেঁয়াজ কিছুদিন আগেও খুচরা ২২ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এদিকে আড়তে টমেটো ৩-৪ টাকা কেজি বিক্রি হলেও খুচরা বিক্রেতেরা ১৫ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছেন।
এছাড়া অপরিবর্তিত রয়েছে আলুর দাম। দেশি ছোট আলু পাইকারি প্রতি কেজি ১৬ টাকা আর খুচরা ২০ টাকা, বড় আলু পাইকারি ১৪ টাকা আর খুচরায় বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা। মিষ্টি লাউ পাইকারি বাজারে প্রতি পিস ৬ টাকা আর খুচরা বাজারে ১০ টাকা। পাইকারিতে বেগুন ৫ টাকা থাকলেও খুচরা বাজারে ১৫ টাকা, ছোট আমঝুরি বেগুনও আড়তে ৫ টাকা আর খুচরা বাজারে ১০ টাকা। আড়তে ১০ টাকার প্রতি কেজি কাঁচা পেপে আর খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়।
তবে, একসপ্তাহের ব্যবধানে কিছুটা উঠানামা করছে কাঁচামরিচের দাম। আড়তে সবচেয়ে ছোট কাঁচামরিচ ২০ টাকা হলেও বড় কাঁচামরিচ ৩০ টাকা।
নগরীর মেছুয়া বাজার সংলগ্ন কাঁচাবাজারের আড়তদার বাদশা মুন্সি জানান, আসলে আমরা খুব অল্প টাকা লাভ করে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে সবধরনের সবজি প্রতিদিন বিক্রি করছি। দাম যতই ওঠানামা করুক আমাদের লাভের পরিমাণ একই থাকে। তবে বিক্রি বেশি হলে লাভের পরিমাণও বাড়ে।
তিনি বলেন, আমাদের থেকে কেনা সবজি খুচরা বিক্রেতারা অর্ধেকের চেয়েও বেশি দামে বিক্রি করেন। টমেটো আমরা ৩-৪ টাকা দরে পাইকারি বিক্রি করলেও দশ মিনিটের ব্যবধানে আমার ডানে-বামের খুচরা বিক্রেতারা ১৫ টাকায় বিক্রি করছে। আবার টমেটোর সাইজ আর রং একটু সুন্দর হলে ২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
শহরের নতুন বাজরে সবজি কিনতে আসা আরিফুর ইসলাম ও আলেয়া খাতুন নামের দুইজন ক্রেতা বলেন, এখন সবজির দাম কমেছে। পছন্দ মতো সবজি কিনে তৃপ্তি করে খেতে পারছি। মাত্র ১০০ টাকা দিয়ে ব্যাগ ভরে বাজার করা যায়। তবে এভাবে দাম হাতের নাগালে থাকলে সকল ক্রেতাদের মাঝে স্বস্তি থাকবে।
তারা বলেন, খুচরা বিক্রেতারা আরত থেকে পাইকারি দরে এনে তিগুণ দামে বিক্রি করার বিষয়টি আমাদের জানা নেই। তবে জানলেও আমাদের কিছু করার নেই। এর জন্য কর্তৃপক্ষে উচিত নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা।
মেছুয়া বাজার সংলগ্ন কাঁচাবাজারে খুচরা সবজি বিক্রি করেন মাজহারুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমরা পাশের আড়ত থেকে সবজি কিনে কেজিতে ৫-৭ টাকা লাভ করে বিক্রি করেছি। তবে তিন-চারগুণ বেশি দামে আমি নিজে বিক্রি করি না। অন্যরা খুচরা এভাবে বিক্রি করলেও করতেও পারে। তবে আমি ইচ্ছে করলেও ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণা করতে পারবো না। কারণ নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হয়। এছাড়া অন্য খুচরা ব্যবসায়ীরা যে দামে বিক্রি কারবে আমরাও তাদের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিক্রি করতে হয়।
ভয়েস টিভি/এসএফ