ভয়েস রিপোর্ট: অবশেষে অবস্থান পাল্টালো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ( ডব্লিউএইচও)। কারণ, করোনা ভাইরাস মহামারি শুরুর পর সংক্রমণ ঠেকাতে মাস্ক ব্যবহারে গুরুত্ব না দিলেও এখন পাবলিক প্লেসে মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে। নতুন গবেষণার ভিত্তিতে সংস্থাটি জানিয়েছে, করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত ব্যক্তি থেকে অন্যের শরীরে ছড়ানোর ক্ষেত্রে বাধা হিসেবে কাজ করে মাস্ক। বিবিসি।
এরআগে মহামারির শুরুর দিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছিল, সুস্থ মানুষের মাস্ক ব্যবহারের পক্ষে যথেষ্ট প্রমাণ নেই। তবে করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে পাবলিক প্লেসে মাস্ক ব্যবহার বেশ কয়েকটি দেশে বাধ্যতামূলক করা হয়। মাস্ক ব্যবহার না করলে বেশ কয়েকটি দেশে শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কোভিড-১৯ বিষয়ক টেকনিক্যাল বিশেষজ্ঞ প্রধান মারিয়া ভ্যান কারখোভ রয়টার্সকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, জনগণকে মাস্ক ব্যবহারে উৎসাহ দেয়ার জন্য প্রতিটি দেশের সরকারের প্রতি পরামর্শ দিচ্ছি। একই সঙ্গে কাপড়ের মাস্ক– যা মেডিক্যাল মাস্ক নয়, সেটি সুনির্দিষ্ট করে দিচ্ছি।
কারখোভ বলেন, নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, সঠিকভাবে মাস্ক ব্যবহার করা হলে সংক্রামণ ঠেকানোর কাজ করতে পারে। সংস্থার পক্ষ থেকে সব সময়ই বলা হয়েছে, যারা অসুস্থ বা করোনা উপসর্গ দেখা দিয়েছে এবং আক্রান্ত রোগীদের দেখাশোনা করছে তাদের জন্য মেডিক্যাল মাস্ক ব্যবহার আবশ্যক।
তবে একই সঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে যে, সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে বিভিন্ন হাতিয়ারের মধ্যে একটি ফেস মাস্ক। তারা মানুষকে সুরক্ষার মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিতে চায় না। সংস্থাটির মহাপরিচালক টেড্রোস আডানম গেব্রিইয়ুস বলেন, শুধু মাস্ক ব্যবহারের ফলেই কোভিড-১৯ থেকে সুরক্ষা পাওয়া যাবে না।