Home সারাদেশ পাবনায় এলজিইডির ভুলে নির্মিত ব্রিজে জনদুর্ভোগ

পাবনায় এলজিইডির ভুলে নির্মিত ব্রিজে জনদুর্ভোগ

by Newsroom
এলজিইডির

পাবনায় এলজিইডির তত্বাবধানে নির্মিত সাড়ে ৪ কোটি টাকার ব্রিজটি জনকল্যাণের চেয়ে জনদুর্ভোগে পরিণত হয়েছে। ব্রিজটি শহরতলীর পুরাতন টেকনিক্যাল মোড় থেকে শিলাইদহ আঞ্চলিক সড়কের বাংলাবাজারস্থ দক্ষিণ রামচন্দ্রপুর ইছামতি নদীর উপর নির্মাণ করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিন ছোট-বড়-মাঝারি সহস্রাধিক যানবাহন চলাচল করছে এই সড়কে। এছাড়া পাবনা ও কুষ্টিয়া জেলাবাসীসহ স্থানীয় ২০টি গ্রামের অর্ধলক্ষাধিক মানুষের যাতায়াতের সুবিধাজনক সড়ক এটি।

প্রায় দুই বছর আগে দক্ষিণ রামচন্দ্রপুুর ইছামতি নদীর উপর দিয়ে এলজিইডির তত্বাবধানে সাড়ে ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি ব্রিজ নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। গত ছয় মাস আগে নির্মাণ শেষে হওয়া ব্রিজটির দুই পাশে অ্যাপ্রোচ না থাকায় এটি ব্যবহার করা যাচ্ছে না। যানবাহন ও জনসাধারণের ঝুঁকি নিয়ে বাইলেন দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে।

অভিযোগ রয়েছে, সরকার জনগণের কল্যাণে বাস্তবমুখি পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান এলজিইডির নকশাগত ভুলের কারণে মহাবিড়ম্বণায় পড়েছেন যাতায়াতকারী ভূক্তভোগীরা। নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ব্রিজটি নির্মাণ করলেও ব্রিজের দুই পাশে সংযোগ সড়ক না দিয়ে কিভাবে নকশা তৈরি করা হয়েছে এটা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা।

একাধিক পথচারী ও যানবাহনের স্টাফরা বলছেন, বাইলেন দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে ধুলাবালি ও খানাখন্দে ভরা রাস্তায় মাঝে মধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটছে। অতিরিক্ত বালু বোঝাই ড্রাম ট্রাকের যাতায়াতের কারণে এ রাস্তায় চলাচল ভয়াবহ। তারপর বাইলেনে মাত্রাতিরিক্ত চাপ পড়ায় সমস্যা আরও প্রকট হয়েছে।

নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মাসপো গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী মর্তুুজা বিশ্বাস সনি বলেন, গেল ছয় মাস আগেই এই ব্রিজটি নির্মাণ কাজ শেষ করা হয়েছে। এলজিইডির নকশা ভুলের কারণে ব্রিজে অ্যাপ্রোস নেই। ফলে দু’পাশের সংযোগ না থাকায় ব্রিজটি ব্যবহার হচ্ছে না। বিকল্প পথ দিয়ে যানবাহন ও মানুষ যাতায়াত করছে।

তিনি বলেন, নির্ধারিত সময়ে ব্রিজ নির্মাণ কাজ শেষ করা হলেও অ্যাপ্রোস না থাকায় আমার কিছু বিল ও সিকিউরিটি মানি আটকে আছে। ফলে দিনদিন এই কাজে আমি আর্থিক ভাবে ক্ষতির সন্মুখিন হচ্ছি।

সংশ্লিষ্ট বিষয়ে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান বলেন, প্রথম অবস্থায় ব্রিজটিতে কোন অ্যাপ্রোস ছিল না। নির্মাণের পর ব্রিজটি অনেক উচু হয়ে যাওয়ায় অ্যাপ্রোসের প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে অ্যাপ্রোস নির্মাণে টেন্ডার আহবান করা হয়েছে।

খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার কাজ শুরু করবেন। আগামি জুন মাসেই এটি নির্মাণ শেষ হলে জনগণের জন্য ব্রিজটি উন্মুক্ত করা সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।

আরও পড়ুন : বিশ্বে করোনা আক্রান্ত সাড়ে চার কোটি ছাড়িয়েছে

ভয়েস টিভি/এমএইচ

You may also like