Home শিক্ষাঙ্গন স্থায়ীভাবে স্কুল বন্ধের ঘোষণায় বিপাকে ১৬৪ এসএসসি পরীক্ষার্থী

স্থায়ীভাবে স্কুল বন্ধের ঘোষণায় বিপাকে ১৬৪ এসএসসি পরীক্ষার্থী

by Mesbah Mukul

ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার পূর্ব তুলাতলীতে ‘মুন্সি খুরশিদ আলম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়’টি  স্থায়ীভাবে বন্ধ ঘোষণা করেছে মালিক পক্ষ। হঠাৎ প্রতিষ্ঠানটির এমন ঘোষণায় জীবন নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়েছে শিক্ষার্থীরা। স্কুলটি চালু রাখতে ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন।

জানা যায়, নারীদের শিক্ষায় এগিয়ে নিতে ২০১৫ সালে সোনাগাজীর পূর্ব তুলাতলী এলাকায় মুন্সি খুরশিদ আলম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টি ব্যারিস্টার নুরুল হক দম্পতির সম্পত্তির উপর প্রতিষ্ঠা করেন অধ্যাপিকা আনোয়ারা বেগম হক।

বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকেই কিশোরীদের স্কুলমুখী করতে এ সকল শিক্ষার্থীকে সম্পূর্ণ বিনা বেতনে অধ্যায়নের সুযোগ দেয় কর্তৃপক্ষ। শিক্ষার্থীদের যাবতীয় উপকরণ ও পোষাক এবং শিক্ষকদের বেতনসহ সব ধরনের ব্যয় বহন করতেন প্রতিষ্ঠানটি। ভালো সুযোগ সুবিধা ও পড়ালেখায় সুনাম থাকায় আশপাশের এলাকার অভিভাবকদের প্রথম পছন্দের তালিকায় ছিলো এ স্কুলটি। যার কারণে প্রতিবছরই এ স্কুলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়তে থাকে।

শনিবার অভিভাবকদের স্কুলে ডেকে বিদ্যালয়টি স্থায়ীভাবে বন্ধের ঘোষণা দেয় কর্তৃপক্ষ। এসময় প্রতিষ্ঠাতা নুরুল হক অসুস্থ্য থাকা ও তার পক্ষে ব্যয় ভার বহন করা অসম্ভব বলে বিদ্যালয়টি স্থায়ীভাবে বন্ধ করার ঘোষণা দেয়া হয়।

এদিকে শিক্ষার্থীরা বলছে, সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বিদ্যালয়টি বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়। এ নিয়ে রোববার সোনাগাজী উপজেলা শহরের জিরো পয়েন্ট এলাকায় মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করে। মানববন্ধন শেষে ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতিহত করে স্কুলটি পুনরায় চালু রাখার বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে স্বারকলিপি দেন ছাত্রীরা।

এসএসসি পরীক্ষার্থী ছাত্রী নাসরিন আক্তার ভয়েস টেলিভিশনকে বলেন, মাত্র ৩ মাস পরেই আমাদের এসএসসি পরীক্ষা। হঠাৎ বিদ্যালয়টি বন্ধ ঘোষণায় আমাদের অভিভাবক ও বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছি। তাছাড়া অন্যান্য ছাত্রীরা এখন কোথায় কোন স্কুলে যাবে! এখন আমাদের শিক্ষা জীবন নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। আমরা চাই স্কুলটি পুনরায় চালু হোক।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক সোহেল কামাল সিদ্দিক সোহাগ ভয়েস টেলিভিশনকে বলেন, বর্তমানে স্কুলটিতে ষষ্ঠ শ্রেনী থেকে দশম শ্রেনী পর্যন্ত ১৬৪ জন ছাত্রী রয়েছে। এদের কথা চিন্তা করে বিকল্পভাবে প্রতিষ্ঠানটি চালানো যায় কিনা সে বিষয়ে আমরা ভাবছি। প্রতিষ্ঠানের দাতারা বর্তমানে আর কোন ব্যয় বহন করতে না পারায় তারা প্রতিষ্ঠানটি বন্ধের ঘোষণা আসে।

তিনি আরো বলেন, বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ব্যারিস্টার নুরুল হক দীর্ঘদিন অসুস্থ্ অবস্থায় আছেন। যার কারণে আমাদের পক্ষে বিদ্যালয়টি পরিচালনা করা এখন আর সম্ভব নয়।

সোনাগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এএম জহিরুল হায়াত জানান, বিদ্যালয়টি চালু রাখার দাবী করে ছাত্রীরা আমার কাছে একটি স্মারকলিপি দিয়েছে। বিষয়টির সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ জন্য উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

ভয়েসটিভি/এমএম

You may also like