ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলার ঘটনার নেতৃত্বে ছিল তারই বাসার মালি। ইউএনও’র ওপর হামলায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার কথা স্বীকারোক্তিও দিয়েছেন, গ্রেফতার হওয়া ইউএনও’র বাসার মালি রবিউল ইসলাম ফরাস। আর হামলায় সহযোগিতা করেছে নৈশপ্রহরী পলাশ।
১২ সেপ্টেম্বর শনিবার দিনাজপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানিয়েছেন রংপুর রেঞ্জের পুলিশের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য। হামলায় ব্যবহৃত হাতুড়ি এবং মই আসামির স্বীকারোক্তি মতো উদ্ধারও করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এ মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রবিউলের ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আর তার সহযোগী নৈশ প্রহরী পলাশ ও আসামি আসাদুলকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এদিকে ইউএনও ওয়াহিদা খানম এখন অনেকটাই শঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
এদিকে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবার ওপর হত্যাচেষ্টার ঘটনা নিয়ে দেখা দিয়েছে ধু্ম্রজাল। ঘটনার পর ৪ সেপ্টেম্বর আসামি আসাদুলকে গ্রেফতার করে র্যাব। সে সময় তারা জানায় চুরির উদ্দেশেই আসামি আসাদুলের সহযোগিতায় নবীরুল হামলা করে ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবার ওপর।
এদিকে শনিবার ঘোড়াঘাট উপজেলা প্রশাসনের বরখাস্ত কর্মচারী রবিউলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
তারা জানায়, রবিউলের আঘাতেই আহত হয়েছেন দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা। ররিউলের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে উদ্ধার করা হয়েছে ঘটনায় ব্যবহৃত হাতুড়িও। এছাড়া প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রবিউল পুলিশকে জানায়, ঘটনা লুকাতে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে ঘটনার দিন ব্যবহৃত শার্ট, ক্যাপ ও গামছা।
২ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে, দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলী শেখের ওপর হামলা করা হয়।
ভয়েস টিভি/এসএফ