দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম ও তার বাবার ওপর হামলার ঘটনায় ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিরুল ইসলামকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
১১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দিনাজপুরের পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন।
জেলা পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন জানান, তাকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে। রংপুর সদর থানার ইন্সপেক্টর আজিম উদ্দিনকে পদোন্নতি দিয়ে ঘোড়াঘাট থানায় নতুন অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে পুলিশ সুপার জানান, সময় হলেই ব্রিফিং করে সব জানানো হবে।
এদিকে, ইউএনও’র ওপর হামলা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দিনাজপুর ডিবির ওসি ইমাম জাফর জানান, ৭ দিনের রিমান্ডে থাকা দুই আসামি নবিরুল ও সান্টুকে বিশেষ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হবে।
তিনি আরও জানান, রিমান্ডে থাকা দুই আসামির কাছে তেমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তাই আবারও রিমান্ডের জন্য আবেদন করা হবে। মামলার প্রধান অভিযুক্ত আসাদুল হকের রিমান্ডের আজ ষষ্ঠ দিন চলছে।
গত ২ সেপ্টেম্বর বুধবার রাত আড়াইটার দিকে দুর্বৃত্তরা বাসার ভেন্টিলেটর ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে এবং ইউএনও ওয়াহিদা ও তার বাবা ওমরকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে জখম করে। পরে তারা জ্ঞান হারিয়ে ফেললে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে বৃহস্পতিবার সকালে আহতদের উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পরে ইউএনও ওয়াহিদার অবস্থার অবনতি হলে তাকে জরুরি ভিত্তিতে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে তিনি রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ভয়েস টিভি/টিআর
