সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নে অবস্থিত রাতারগুল জলাবন। এটি বাংলাদেশের একমাত্র সমৃদ্ধ জলাবন।
প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠা হিজল-করচ-বরুণগাছের পাশাপাশি বেত, ইকরা, খাগড়া, মূর্তা ও শণজাতীয় গাছ রাতারগুলকে জলার বন হিসেবে অনন্য করে তুলেছে।
১৯৭৩ সালে জলাবনটি সংরক্ষিত ঘোষণা করে বন বিভাগ। বনে ৭৩ প্রজাতির উদ্ভিদের সঙ্গে ২৫ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী, ২০ প্রজাতির সরিসৃপ, ১৭৫ প্রজাতির পাখি ও ৯ প্রজাতির উভচর প্রাণীর অস্তিত্ব রয়েছে।
এই জীববৈচিত্র্য রক্ষায় জাতীয় উদ্যান পরিকল্পনার আওতায় ওয়াচটাওয়ার নির্মাণসহ কিছু অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়। এ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ২০১৪ সালে রাতারগুলে ওয়াচটাওয়ারটি নির্মাণ করা হয়।
কিন্তু সম্প্রতি ‘ওয়াচটাওয়ার’ নড়বড়ে ও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় সপ্তাহখানেক আগে বন বিভাগ নির্দেশিকা টানালেও পর্যটকরা সেটি মানছিলেন না। এই পরিস্থিতিতে ২১ সেপ্টেম্বর সোমবার থেকে টাওয়ারে ওঠার মুখে বেড়া দিয়ে ওঠানামা পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, করোনা পরিস্থিতিতে প্রায় ছয় মাস রাতারগুলে পর্যটকদের আনাগোনা বন্ধ ছিল। তখনই ওয়াচ টাওয়ারটির নড়বড়ে অবস্থা দেখা দেয়।
সম্প্রতি পর্যটকদের যাতায়াত শুরু হলে ওয়াচ টাওয়ারে ওঠানামার ক্ষেত্রে একটি নির্দেশিকা দেয়া হয়। কিন্তু এ নির্দেশনা না মেনে একসঙ্গে একাধিক পর্যটক সেখানে ওঠানামা করায় দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। তাই ওয়াচ টাওয়ারে পুরোপুরি ওঠানামা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
ভয়েস টিভি/টিআর