দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা উমর আলী শেখকে হত্যা চেষ্টা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইউএনও’র দুই গাড়ি চালককে আটক করেছে পুলিশ। তারা হলেন ড্রাইভার হাফিজ ও ইয়াসিন।
৭ সেপ্টেম্বর রাত ১০টার দিকে আটক করে পুলিশ। বর্তমানে থানা হেফাজতে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এর আগে বাসার কাজের মেয়ে জবেদা ও আসোলাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। তবে তাদের মধ্যে জবেদাকে ছেড়ে দেয় পুলিশ এবং আসোলাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাখা হয়।
০৬ সেপ্টেম্বর রিমান্ডে নেওয়া আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে গোয়েন্দা সংস্থা (ডিবি)। ৭ সেপ্টেম্বর সারাদিন জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে ডিবি হেফাজতে তিন আসামি ছাড়াও আরো ৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক ইমাম জাফর এর নেতৃত্বে ৭ দিনের রিমান্ডে নেওয়া প্রধান আসামি আসাদুল ইসলাম, সহযোগী নবিরুল এবং সেন্টুকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তিনজনের কাছে পাওয়া তথ্য মিলিয়ে ঘটনার নেপথ্যসহ সব বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ চিত্র বের করার চেষ্টা করছেন তিনি।
এছাড়া প্রধান আসামি আসাদুলের ছোট ভাই আশরাফুল ইসলাম শাওন, বাগানের মালি সুলতান কবির এবং (গ্রেফতার সেন্টুর নিকট আত্মীয়) আদ্দাল্লি (পিওন) শ্যামল কুমারকে শনিবার থেকে হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে ঘোড়াঘাট থানা পুলিশ।
৪ সেপ্টেম্বর শুক্রবার আহত ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ভাই শেখ ফরিদ উদ্দিন বাদী হয়ে অজ্ঞাত নামা সন্ত্রাসীদের আসামি করে ঘোড়াঘাট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
ভয়েস টিভি/টিআর