চলে গেলেন বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক হাবিব আল আজাদ (৭৪)। ৩০ সেপ্টেম্বর বুধবার বার্ধক্যজনিত কারণে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় আজ এ কথাসাহিত্যিককে শেষ বিদায় জানিয়েছেন সংস্কৃতিকর্মী, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীসহ তাঁর শুভাকাঙ্ক্ষী এবং এলাকাবাসী। ১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় কেন্দুয়া উপজেলার গড়াডোবা আব্দুল হামিদ কারিগরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে তাকে পারিবারিক গোরস্থানে সমাহিত করা হয়।
জানাজাপূর্ব আলোচনায় প্রয়াত হাবিব আল আজাদের জীবন-কর্ম ও তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র আসাদুল হক ভূইয়া, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন ভূইয়া, গড়াডোবা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান বাবলু, সাবেক চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সোহাগ, বদরুনূর চৌধুরী লিপন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুল হক সেলিম, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আউয়াল, প্রয়াত হাবিব আল আজাদের ছেলে তৌহিদ ইকবাল।
১৯৪৭ সালের ১ অক্টোবর কেন্দুয়া উপজেলার গড়াডোবা (খরমহরী) গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন হাবিব আল আজাদ। তিনি কাছিমপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন দীর্ঘদিন। শিক্ষকতা থেকে অবসরের পর পুরোপুরিভাবে সাহিত্য সাধনায় নিজেকে নিয়োজিত করেন। চর্চা সাহিত্য আড্ডার উপদেষ্টাসহ তিনি কেন্দুয়া উপজেলার বিভিন্ন সাহিত্য সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি নাটক, গল্প, উপন্যাস ও সংগীত বিষয়ক ৩৩টি বই রচনা করেছেন।
তার উপন্যাস- গহর মাঝির দিঘি, অমিয় প্রেম ধারা, নাটক- বাংলা আমার দেশ, আমি বিজয় দেখেছি, গল্পগ্রন্থ- ট্রেন থেকে দেখা, প্রত্যাশার অপমৃত্যু, বিধ্বস্ত হৃদয়ের কান্না উল্লেখযোগ্য।
কথাসাহিত্যে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ হাবিব আল আজাদ ২০১৭ সালে ‘চর্চা সাহিত্য আড্ডা পুরস্কার’ লাভ করেন।
ভয়েস টিভি/এসএফ
