করোনার ছুটির মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি) থেকে দুই দফা কম্পিউটার চুরি হয়েছে। বশেমুরবিপ্রবি থেকে চুরি হওয়া কম্পিউটারগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পদ। এবার যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল থেকে এক শিক্ষার্থীর কম্পিউটার চুরি হয়েছে। ঘটনাটি ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে লিখিতভাবে জানালে কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তবে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে ক্ষতি পূরণ দেয়া হবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, যবিপ্রবির শহীদ মসিয়ূর রহমান হলের ৪১৪ নম্বর রুম থেকে আবির হাসান নামের ওই শিক্ষার্থীর কম্পিউটার ও মূল্যবান সামগ্রী খোয়া গেছে। এর আগেও করোনাকালীন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে চুরির ঘটনা ঘটেছে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আবির হাসান জানান, আমি সোমবার হল থেকে আমার গুরুত্বপূর্ণ কিছু জিনিস ও কম্পিউটার নিতে ক্যাম্পাসে আসি। কিন্তু রুমে প্রবেশ করতে গিয়ে দেখি ভেতর থেকে দরজা লাগানো এবং জানালা দিয়ে দেখি পেছনের দরজা খোলা। পরে হল কর্তৃপক্ষ পাশের রুমের দরজা খুলে দেয়। এরপর পেছনের ব্যালকনি দিয়ে রুমে প্রবেশ করে দেখি পুরো রুমের জিনিসপত্র এলোমেলো। আমার কম্পিউটারসহ মূল্যবান কিছু জিনিস নেই।
এই বিষয়ে হল প্রাধ্যাক্ষ ড. নাজমুল হাসান বলেন, গতকাল চুরির অভিযোগে আসার পরপরই আমরা একটা তদন্ত কমিটি গঠন করেছি এবং তাদের ১০ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার কথা বলা হয়েছে। এছাড়াও আমরা হলের নিরাপত্তা বাড়িয়ে দিয়েছি এবং পুরো হল সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনার জন্য আরও ৩০টি সিসিটিভি ক্যামেরা সংযোজনের জন্য আবেদন করেছি।
তিনি আরও বলেন, আমরা হল বন্ধের আগেই নোটিশ দিয়েছিলাম সবার রুম থেকে মূল্যবান সামগ্রী নিয়ে যেতে। কিন্তু অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা এখনও নির্দেশনা পালন করেনি। এ চুরির ঘটনার জন্য ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর জন্য আমার সমবেদনা রইল।
যবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, ইতোমধ্যে আমার একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। প্রতিবেদন আসলেই আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব। এছাড়াও হলের নিরাপত্তা বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
ভয়েস টিভি/এসএফ
