জারত (শীতে) কম্বল পানু বাহে। ভগবান ওমাক (তাদের) ভালো করুক। এই জারত ওমা হামাক কম্বল দেইল। হামার মতন বয়স্ক বুড়া-বুড়িগুলাক এ্যালা (এখন) আর কাহোয় (কেউ) ডাকায় না (ডাকে না), কম্বলও দেয় না।
কম্বল ও শীত সামগ্রী হাতে পেয়ে এভাবেই আবেগ-অনুভূতির কথা জানাচ্ছিলেন নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার কাঁঠালী ইউনিয়নের শতবর্ষী শ্রীমতি বালাস্বরী। তিনি কাঁঠালী ইউনিয়নের আরাজী কাঁঠালী (দাসপাড়া) এলাকার মৃত. গোড্ডা দাসের স্ত্রী।
জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী বর্তমানে তার বয়স ১০২ বছর। তিনি ১৯১৮ সালের ১ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন।
তার সাথে কে এসেছে জানতে চাইলে তিনি জোর দিয়ে বলেন, মোর (আমার) নাতিক ধরি আইসচুং (আসছি) কম্বল নিবার।
সামাজিক সংগঠন অভিনন্দন সমাজকল্যাণ সংস্থার আয়োজনে ‘সারা বাংলা ৮৮’ নামক বন্ধু সংগঠনের সহযোগিতায় নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলায় ২৭ নভেম্বর শুক্রবার দুপুরে এক শ ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের মাঝে কম্বল, টুপি, পায়ের মোজা ও জুতা বিতরণ করা হয়।
শীত সামগ্রী হাতে পেয়ে খুটামারা ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া এলাকার পুলিন চন্দ্র বলেন, আমাদের মতো বয়স্ক লোকদের ডেকে এনে যারা শীত সামগ্রী দিলেন ভগবান তাদের মঙ্গল করুক। একই অনুভূতির কথা জানান আমেনা বেগমেরও।
আয়োজক সংস্থার কার্যালয়ে এসময় উপস্থিত ছিলেন অভিনন্দন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক কাঞ্চন রায়, মনিটরিং অফিসার মিলন সরকারসহ সারাবাংলা ৮৮ গ্রুপের মডারেটর ও পার্বতীপুর ল্যাম্ব হাসপাতালের রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড কমিউনিকেশন ম্যানেজার মাহাতাব লিটন, সেতাবগঞ্জ মাহেরপুর কলেজের অধ্যক্ষ শরিফুল ইসলাম সাগর, দিনাজপুর নিটল টাটা ইন্স্যুরেন্স ম্যানেজার শামীম কবির, নবাবগঞ্জ মোগলপাড়া ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ওবাইদুল হাকিম কাঞ্চন।
আরও পড়ুন: ঝুপড়ি ঘরে দিন কাটছে বৃদ্ধ সখিনার; জোটেনি বয়স্ক ভাতা
ভয়েস টিভি/এসএফ