Home চিকিৎসা করোনায় আক্রান্ত ৫৩৬ পুলিশ সদস্য, কোয়ারেন্টিনে ১২২৪ জন

করোনায় আক্রান্ত ৫৩৬ পুলিশ সদস্য, কোয়ারেন্টিনে ১২২৪ জন

by shahin

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে শুক্রবার পর্যন্ত মারা গেছে ৪ জন । মহামারি ভাইরাস করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৫৩৬ জন । এছাড়া  পুলিশ সদর দপ্তরের সূত্র জানায়, আজ দুপুরে পর্যন্ত সারা দেশে পুলিশের ১ হাজার ২২৪ জন সদস্যকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। আর আইসোলেশনে আছেন ১৫৯ জন। আর করোনায় আক্রান্ত ৫৫ জন পুলিশ সদস্যকে সুস্থ ঘোষণা করা হয়েছে।

এ পর্যন্ত যে চারজন মারা গেছেন, তাঁরা সবাই ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সদস্য।

করোনায় আক্রান্ত হয়ে সর্বশেষ মারা যান পুলিশ সদস্য নাজির উদ্দিন শুক্রবার কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। আগে পুলিশের যে তিন সদস্য মারা গেছেন তারা হলেন—সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আবদুল খালেক, ট্রাফিক কনস্টেবল আশেক মাহমুদ ও কনস্টেবল জসিম উদ্দিন।

দুপুরে পুলিশ সদর দপ্তরের গণমাধ্যম শাখার প্রধান সোহেল রানা বলেন, সারাদেশে বাড়ছে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। এই ভাইরাস মোকাবিলায় সম্মুখসারির যোদ্ধা হিসেবে যারা কাজ করছেন, তাদের অন্যতম পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের মধ্যেও বাড়ছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা। দিন দিন পুলিশ সদস্যদের মধ্যে আক্রান্তের হারও বাড়ছে।  ‘ভাইরাসটি প্রাণঘাতী জেনেও সংগ্রাম করে যাচ্ছেন পুলিশ সদস্যরা। এ কারণে আমাদের ৪ জন মারাও গেছেন। তবে যারা ২৪ ঘণ্টা কাজ করছেন তারা যেন একটু সাবধানতা অবলম্বন করেন। বিশেষ করে নির্দিষ্ট দূরত্বে থেকে জনগণের সেবা করে যেতে হবে। আর যারা আক্রান্ত হচ্ছেন তাদের ভয়ের কিছুই নেই। তারা যেন সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন পুলিশ সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।’

পুলিশ সদর দপ্তরের অপারেশন শাখা থেকে পাওয়া তথ্যে দেখা গেছে, করোনায় আক্রান্ত ইউনিটগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পুলিশ সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ঢাকা মহানগরীতে। সেখানে প্রতিদিনই কেউ না কেউ সংক্রমিত হচ্ছেন।

পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, ঢাকা মহানগর পুলিশে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা তাঁদের ভাবিয়ে তুলছে। মহানগর পুলিশের আটটি অপরাধ বিভাগ ছাড়াও পরিবহন, প্রোটেকশন, উন্নয়ন, গোয়েন্দা, স্পেশাল অ্যাকশন গ্রুপসহ ২২টি বিভাগের সদস্যরা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তের তালিকায় ১২ জন নারীও আছেন।

মাঠপর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, রাজারবাগ পুলিশ লাইনসের আবাসন ব্যবস্থার কারণে তাঁদের মধ্যে করোনার সংক্রমণ হচ্ছে। সেখানে গাদাগাদি করে পুলিশ সদস্যদের থাকতে হচ্ছে। এতে একজন আক্রান্ত হলে তা সহজেই অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে।

You may also like