গত একদিনে দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে দুই হাজার ৫৪৭ জনের। ১৩ হাজার ৪৬০ জনের নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন তিন হাজার ৩৪ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৯৯ হাজার ৩৫৭ জনে।
১৭ জুলাই শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়। অনলাইনে বুলেটিন উপস্থাপন করেন অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
তিনি বলেন, গত একদিনে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৭৬২ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ৮ হাজার ৭২৫ জন।
সারাদেশে ৭৯টি ল্যাব থাকার কথা উল্লেখ করে তিনি আরও জানান, সরকারি ও সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪৮টি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩১টি ল্যাব চালু আছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৩ হাজার ৬৮১টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৩ হাজার ৪৬০টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১০ লাখ ছয় হাজার ৭৫১টি।
করোনায় মারা যাওয়াদের পরিসংখ্যান জানিয়ে নাসিমা সুলতানা জানান, গত একদিনে মৃত্যু ৫১ জনের মধ্যে ৪০ জন পুরুষ ও নারী ১১ জন। এদের মধ্যে রয়েছেন ঢাকা বিভাগে ১৩ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৬ জন, রাজশাহী ও সিলেট বিভাগে তিন জন করে ছয় জন, বরিশাল ও খুলনা বিভাগে ছয় জন করে ১২ জন, রংপুর বিভাগে চার। এদের মধ্যে হাসপাতালে মারা গেছেন ৪২ জন, বাসায় মারা গেছেন নয় জন।
মারা যাওয়াদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে দুই জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ১১ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১২ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৫ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে সাত জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে তিন জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে এক জন রয়েছেন।
অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৮১২ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৫৯৩ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন ৪০ হাজার ৭৫৯ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৮ হাজার ২৫০ জন।
করোনা মহামারি বিশ্বকে মৃত্যুপুরীতে পরিণত করেছে। গেল বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহর থেকে ছড়ানোর পর বিশ্বজুড়ে এ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা এখন এক কোটি ৩৯ লাখ ৫৩ হাজারের বেশি। মৃতের সংখ্যা প্রায় পাঁচ লাখ ৯৩ হাজার প্রায়। তবে পৌনে ৮৩ লাখের বেশি রোগী ইতোমধ্যে সুস্থ হয়েছেন। বাংলাদেশে কোভিড-১৯ প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। প্রথম মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ।
ভয়েসটিভি/প্রতিবেদক/এএস