করোনা দীর্ঘায়িত হলে সেপ্টেম্বরের আগে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু না করা এবং এসএসসির ফল প্রকাশ হবে না।তবে এই সময়ের মধ্যে পাঠদান অনলাইনেই শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের মহাপরিচালক অধ্যাপক মুহাম্মদ জিয়াউল হক জানান, শিক্ষা কার্যক্রম এগিয়ে নিতে স্বনামধন্য শিক্ষাবিদদের পরামর্শে আরো কিছু কার্যক্রম হাতে নেয়া হবে। তবে শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ বলেন, সারাবছরে অনলাইন ভিত্তিক কার্যক্রমের সূদুরপ্রয়াসী চিন্তা মাথায় নিয়ে পরিকল্পনা করতে হবে। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে বিকল্প উপায়ে মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিকের ক্লাস পরিচালনা করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এতে সহযোহিতা করছে সরকারের তথ্য প্রযুক্তি সংস্থা-এটুআই। দুর্যোগকালে যেন পিছিয়ে না পড়তে হয় এজন্য নিয়ম করে পাঠদান এবং হোমওয়ার্ক দিচ্ছেন শিক্ষকরা।
অনলাইনের এসব পাঠ থেকে উপকৃতও হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। সময়মত টিভি সেটের সামনে না থাকলেও পরবর্তীতে আবার সেসব পাঠ পুনঃপ্রচার করা হচ্ছে। শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ বলেন, ছাত্র-ছাত্রীদের অনুপস্থিতিতে ক্লাস নেয়া এবং হোমওয়ার্ক নিয়ে আরো গবেষণা করে পাঠ ঠিক করতে হবে।প্রচলিত শিক্ষা পদ্ধতি থেকে আলদাভাবে চিন্তা করতে হবে। তিনি বলেন, করোনা ছাড়াও যানজট এবং প্রত্যন্ত এলাকা বিবেচনায় অনলাইনে পাঠদান সূচী নির্ধারণ এবং মুল ধারার শিক্ষা কার্যক্রমের সাথে সেটার সংযোজন প্রয়োজন।
এদিকে, ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান জানান, অনলাইনেও অনেক বিদ্যালয় তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। সংসদ টিভি ছাড়া আর কোন বিকল্প উপায়ে শিক্ষা কার্যক্রম চালানো যায় কিনা সে বিষয়ে বিশেষজ্ঞ পরামর্শ নেয়া হচ্ছে। তিনি আরো জানান, করোনার কারণে এইচএসসি, জেএসসি পরীক্ষা সেপ্টেম্বরের পরে হতে পারে বলে জানান তিনি। তবে এসএসসির পরীক্ষা মূল্যায়নপত্রের কাজ ৭০ শতাংশ শেষ হয়েছে বলে জানান তিনি।