করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবে সামনে আরো কঠিন সময় আসার আশঙ্কা প্রকাশ করছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এজন্য তিনি সামনের চ্যালেঞ্জিং সময় মোকাবিলার মানসিক প্রস্তুতি নিতে দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার এক ভিডিওবার্তায় ওবায়দুল কাদেরের এই আহ্বান জানান। বিশ্বের করোনা পরিস্থিতি উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বর্তমানে করোনা আক্রান্ত ২১০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৩৭তম। সামনে আরো কঠিন সময় আসবে বলে অনেকে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। এই চ্যালেঞ্জিং সময় অতিক্রম করতে হবে সাহসিকতার সঙ্গে। এ জন্য দুর্যোগ মোকাবিলায় আওয়ামী লীগের সব স্তরের নেতাকর্মীদের মানসিক প্রস্তুতি রাখার আহ্বান জানান তিনি।
৯০ লাখ পরিবারকে আওয়ামী লীগের সহায়তা
দলীয়ভাবে আওয়ামী লীগের ত্রাণ তৎপরতার কথা তুলে ধরে সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী, দলীয় সংসদ সদস্যসহ জনপ্রতিনিধিরা আওয়ামী লীগের পক্ষে সারাদেশে ৯০ লাখ ২৫ হাজার পরিবারকে খাদ্য সহায়তা এবং আট কোটি ৬২ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা দিয়েছে। এখনও ত্রাণ সামগ্রী ও নগদ টাকা বিতরণ সারা বাংলাদেশের তৃণমূল পর্যায়ে অব্যাহত রয়েছে।
এছাড়া পিপিই, মাস্ক, গ্রাভস, স্যানিটাইজার, ব্লিচিং পাউডার ও স্প্রে মেশিনসহ স্বাস্থ্যসুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস চালু হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ মেডিকেল টিম টেলিমেডিসিন ব্যবস্থার মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জনগণের পাশে আছে। পিতা মুজিবের রাজনৈতিক আদর্শ ও দর্শন এবং নিজের জীবনের অভিজ্ঞতার সমন্বিত বোঝাপড়া নিয়ে তিনি বাস্তবতার নিরিখে সব সময় জনগণের পাশে এসে যা যা করণীয় তা করে যাচ্ছেন। এই মহামারি মোকাবিলায় শেখ হাসিনা যে ধৈর্য, কর্মনিষ্ঠা, প্রজ্ঞা, সাহস ও দায়িত্বশীলতার নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন তা দেশে-বিদেশে প্রশংসিত হচ্ছে।
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন
ওয়ান ইলেভেনের সময় দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের বিষয়টি স্মরণ করে কাদের বলেন, ৭ মে আমাদের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি স্মরণীয় দিন। ২০০৭ সালের এই দিনে চিকিৎসা শেষে যুক্তরাষ্ট্র থেকে শত বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে দেশে ফিরে আসেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার চেয়েছিল তিনি যেন দেশে ফিরে না আসেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধু কন্যা অসীম সাহসের সঙ্গে সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে ফিরে আসেন দেশের মাটিতে।