আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবার করোনার প্রতিষেধক নিয়ে নতুন একটি আশার বাণী প্রকাশ করেছেন। তিনি জানান, ভারতের ওষুধ শিল্প যে বিশ্বের সম্পদ তা মহামারীর সময় আবারো প্রমাণিত হতে যাচ্ছে। কোভিড-১৯ এর প্রতিষেধক উৎপাদনের জন্যে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করছে ভারতের বেশ কয়েকটি সংস্থা।
মোদি বলেন আমি নিশ্চিত, করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কার হওয়ার পরে তা তৈরি এবং বিপুল সংখ্যায় পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে ভারত।
করোনার ওষুধের মূল্য নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওষুধের দামে নাগালের মধ্যে রাখার ক্ষেত্রে উন্নয়নশীল দেশের জন্যে ভারতের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। বিশ্বে শিশুদের জন্যে যতো প্রতিষেধক প্রয়োজন হয়, তার দুই-তৃতীয়াংশই তৈরি হয় ভারতে।
গত ২ জুলাই আইসিএমআরের ডিজি বলরাম ভার্গব একটি চিঠিতে দেশটির ১২টি গবেষণা প্রতিষ্ঠানকে জানিয়ে দেয়, ‘চলতি বছরের ১৫ আগস্টের মধ্যে বাজারে আনতে হবে করোনার প্রতিষেধক। গবেষণার কাজে এ ভাবে পরীক্ষার পর্যাপ্ত সময় হাতে না রেখে তড়িঘড়ি প্রতিষেধক বাজারে ছাড়ার দিনক্ষণ বেঁধে দেওয়ায় তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে আইসিএমআর। ভারতের চিকিৎসকদের একটি বড় অংশ এ ধরনের চিঠির তীব্র সমালোচনা শুরু করে।
এর জবাবে আইসিএমআরের গবেষক নিবেদিতা গুপ্ত বলেন, আমরা দ্রুত টিকা আবিষ্কারের পক্ষে। দু’বছর পরে টিকা আবিষ্কার করে কোনো লাভ নেই। আমরা দৌড়ে যাতে পিছিয়ে না-পড়ি, তাই ওই চিঠিটি লেখা হয়েছে।
প্রতিষেধক আবিষ্কারের ক্ষেত্রে প্রথম দিকের পরীক্ষায় এরই মধ্যে সাফল্যের দাবি করেছে বিশ্বের বেশ কিছু সংস্থা। শেষমেশ সফল আবিষ্কার কতদিনের মধ্যে হবে তা নিয়েই সন্দিহান সবাই।
ভয়েস টিভি ডেস্ক/দেলোয়ার