ভয়েস ডেস্ক: এখনো করোনা ভাইরাস মহামারি অবসানের কাছাকাছিও পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। এমন সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সোমবার এক ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে ডব্লিউএইচও মহাপরিচালক টেড্রোস আডানোম গেব্রিয়াসিস জানান, ছয় মাস আগে চীনের উহান শহরে অসুস্থতার খবর প্রথম যখন পাওয়া যায় তখন যে আশঙ্কা করা হয়েছিল বর্তমান পরিস্থিতি তার চেয়ে অনেক বেশি খারাপ। সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি এখনো আসেনি জানিয়ে গেব্রিয়াসিস বলেন, বর্তমান পরিবেশ এবং পরিস্থিতিতে বচেয়ে খারাপ কিছুর আশঙ্কা করছি।সূত্র: গার্ডিয়ান
এক প্রতিবেদনে তারা লিখেছে, গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহর থেকে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। ২৯ ডিসেম্বর এই ভাইরাসে সেখানকার নাগরিকদের আক্রান্ত হওয়ার খবর প্রথম বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে জানায় চীনা কর্তৃপক্ষ। সেসময়ে ডব্লিউএইচওর আশঙ্কা ছিল, নতুন ভাইরাসের সংক্রমণ সার্স ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মতো হতে পারে। ২০০২ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত ওই সার্স ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে ৭৭৪ জনের মৃত্যু হয়।
কিন্তু নতুন করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরুর ছয় মাসের মধ্যে বিশ্ব জুড়ে মৃতের সংখ্যা পাঁচ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। আর আক্রান্ত পার হয়েছে এক কোটি। এতেই ভাইরাসটির ভয়াবহতা প্রতিফলিত হয় বলে মনে করেন ডব্লিউএইচও মহাপরিচালক টেড্রোস আডানোম গেব্রিয়াসিস।
ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে টেড্রোস আডানোম গেব্রিয়াসিস বলেন, বেশিরভাগ মানুষ আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকায় এখনো ভাইরাসটির বিস্তারের যথেষ্ট সুযোগ আছে। কিন্তু কঠিন সত্য হলো, এটা অবসানের কাছাকাছিও পৌঁছায়নি। বিশ্বের কয়েকটি দেশ খানিকটা অগ্রগতি অর্জন করলেও, সত্যিকার অর্থে মহামারির গতি বাড়ছে। তিনি বলেন, প্রকৃত সত্য হলো সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি এখনো আসেনি।
ডব্লিউএইচওর জরুরি কর্মসূচি বিষয়ক প্রধান মাইক রায়ান ওই ব্রিফিংয়ে বলেন, সংক্রমণ রোধে একটি কার্যকর ও নিরাপদ টিকা উদ্ভাবনে অসাধারণ অগ্রগতি অর্জিত হলেও, এখন পর্যন্ত কোনও নিশ্চয়তা নেই যে এই উদ্যোগ সফল হবে। তবে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও জার্মানি ভাইরাসটি মোকাবিলায় বিস্তৃত ও টেকসই কৌশল নিতে পেরেছে বলে ইঙ্গিত দেন মাইক রায়ান।
ব্রিফিংয়ে টেড্রোস আডানোম গেব্রিয়াসিস জানান, ভাইরাসটি প্রতিরোধের উপায় খোঁজার গবেষণার অগ্রগতি পর্যালোচনা করতে এই সপ্তাহে একটি বৈঠক আয়োজনের পরিকল্পনা করছে ডব্লিউএইচও।