এবারে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে পাবনার বেড়া থানায় করোনা রোগীর নামে অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে মামলা দেয়া হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পাবনার বেড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদের উপ-নির্বাচনে আওয়ামীলীগ দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন উপজেলার জাতসাখিনী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রেজাউল হক বাবু। মনোনয়ন নিয়ে এলাকায় ফিরতেই সাঁথিয়া-বেড়ার সীমান্তবর্তি এলাকা সিএন্ডবি মোড়ে নৌকা প্রার্থীর গাড়ি বহরে হামলার শিকার হন আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী রেজাউল হক বাবু। হামলায় কমপক্ষে ৪৫টি গাড়ী ভাংচুর করা হয় এবং অন্তত ২০ জন আহত হয়। এ ঘটনায় সানিলা গ্রামের মজিদ মোল্লার ছেলে ব্যবসায়ী জাহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে সাঁথিয়া থানায় উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান উকিলসহ আওয়ামীলীগ ও যুবলীগের ৩৮ জন নামীয় ও অজ্ঞাত আরও ৩০/৪০ জনকে আসামী করে অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করেন। (মামলা নং ১৫ তারিখ ১৫-১১-২০২০)।
এই মামলায় বেড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং গুপিন্দা গ্রামের মৃত নিফাজ উদ্দিনের ছেলে আফজাল হোসেন (৫৫) কে ৩৮ নং আসামী করা হয়। তিনি উপজেলার রূপপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান।
আফজাল হোসেন মোবাইলে বলেন, “তিনি গত ১৬ দিন করোনায় আক্রান্ত হয়ে ঢাকার আনোয়ার খান মর্ডান হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হওয়ায় সম্প্রতি অক্সিজেন সার্পোট নিয়ে নিজ বাসায় চিকিৎসাধন আছেন। তিনি অক্সিজেন ছাড়া এক মুহূর্ত চলতে পারেননা। করোনার জন্য তিনি প্রতিদিন অনেক ঔষুধ সেবন করতে হচ্ছে। শাররীকভাবে চলাফেরা করতে অক্ষম। ঘটনাস্থলে যাওয়া তো দুরের কথা বাসার মধ্যে উঠে দাঁড়ানোর ক্ষমতা নেই। এই সময় অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে মামলা দেয়া তার প্রাণনাশের শামিল।
এই মামলার বাদী জাহিদুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি অনেক বড়। হামলার সময় কে ছিল কে ছিল না তা আমি একা বলতে পারবো না। আর রাতে ঘটেছে তাই প্রত্যক্ষদর্শীরা যারা আছে তাদের সঙ্গে আলাপ করে সাংবাদিকদের পরে জানাবেন বলে জানান।
এ ছাড়া মামলার বাদী জাহিদুল ইসলাম বেড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ দুলালের সঙ্গে কথা বলারও পরামর্শ দেন।
বেড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ দুলাল বলেন, যারা ঘটনাস্থলে ছিলেন এবং হামলার সঙ্গে যুক্ত এবং তাদেরকেই আসামী দেওয়া হয়েছে। নিরীহ কাউকে আসামী করা হয়নি।
সাঁিথয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: আসাদুজ্জামান বলেন, এই ঘটনায় যাদের আসামী করা হয়েছে তার ৮০ ভাগ বেড়া উপজেলার মানুষ। সাঁথিয়া উপজেলার মাত্র ২০ শতাংশ মানুষকে আসামী করা হয়েছে। তাই আমরা অনেককে চিনিনা। ৩৮ নং আসামী আফজাল হোসেন করোনা আক্রান্ত বলে শুনেছি।
তিনি আরও বলেন, এই মামলায় যারা ঘটনাস্থলে ছিলেন না বা চিকিৎসাধীন ছিলেন তাদের নাম অবশ্যই চার্জশীট থেকে বাদ দেওয়া হবে। আর এই মামলায় তাদের গ্রেফতারও করা হবে না বলে তিনি জানান।
ভয়েস টিভি/ডিএইচ