Home অর্থনীতি কাঁচা মরিচের ডাবল সেঞ্চুরি

কাঁচা মরিচের ডাবল সেঞ্চুরি

by Shohag Ferdaus
কাঁচা মরিচের

পেঁয়াজের ঝাঁজের পর এবার কাঁচা মরিচের ঝাল বেড়েই চলছে রংপুরের ছোট বড় বাজারগুলোতে। পাইকারি বাজারে কাঁচা মরিচের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা। এ নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে বচসা লাগলেও বিক্রেতাদের সাফ কথা ‘নিলে নেন, না নিলে কথা কম কন’। এদিকে বন্যা বা বৃষ্টিতে ব্যাপকভাবে মরিচের ক্ষেত নষ্ট হয়নি বলেও দাবি কৃষি বিভাগের।

সাধারণ ক্রেতারা মনে করেন, বাজার মনিটরিং না করায় এমন অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে জেলা প্রশাসন অফিস বলছে, নিয়মিত মনিটরিং টিম কাজ করছে বাজারগুলোতে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কাঁচা মরিচ পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। বিক্রেতাদের কাছে কাঁচা মরিচের কোনো সংকট নেই। সরবরাহ যথেষ্ট রয়েছে।

ব্যবসায়ীদের দাবি, কয়েক দফা টানা বর্ষণের কারণে মরিচের ক্ষেত নষ্ট হওয়ায় স্থানীয়ভাবে বাজারে কাাঁচা মরিচ সরবরাহ কম তাই দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ক্রেতারা বলছেন, তাহলে বিদেশ থেকে যেসব কাাঁচা মরিচ আসছে সেগুলোর দাম বেশি কেন? এমন প্রশ্নে ক্ষেপে যান বিক্রেতারা।

২৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার রংপুর সিটি বাজার, ধাপ বাজার, লালবাগ বাজার, কামালকাচনা বাজার, স্টেশন ও মাহিগঞ্জ এবং সাত মাথা বাজার ঘুরে একই দৃশ্য পাওয়া গেছে। দেশ এবং বিদেশের যে কাঁচা মরিচই হোক দাম ২০০ টাকা।

ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, এলসির মরিচও বেশি দরে কিনতে হচ্ছে। তাই বাজারে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।

রংপুর সিটি বাজারে বাজার করতে আসা আব্দুল মজিদ জানান, ‘একবার পেঁয়াজ একবার মরিচ আবার কখনো কখনো মসলার দাম বাড়ছে। আমরা বুঝি না যখন তখন ইচ্ছামতো এসবের দাম বাড়ছে। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, সত্যিই কী বাজারে ২০০ টাকা কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হবার মতো? মরিচ কী বাজারে নেই? তাহলে এত এত মরিচ আসছে কোথা থেকে?’

তার মতোই ফরিদুল ইসলাম নামে আরেকজন বলেন, ‘আমরা যে কার কাছে অসহায় তা বুঝে উঠতে পারছি না। এভাবে চলতে পারে না। এর একটা বিহিত হওয়া দরকার। আমরা সাধারণ মানুষ কেন এত জিম্মি? আমরা চাই সরকার এই সিন্ডিকেটদের কোমর ভেঙে দিয়ে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াক।’

সায়লা শারমিন নামে এক নারী ক্রেতা বলেন, ‘কাঁচা মরিচের দাম কয়েক দিনে তিন গুণেরও বেশি হয়ে গেছে। কী আর করা, না কিনে তো উপাই নেই।’

রংপুরের আড়তদার সোলায়মান বলেন, ‘বৃষ্টি ও বন্যার কারণে মরিচ ক্ষেত নষ্ট হওয়ায় বাজারে আমদানি কমে গেছে। সে জন্য মরিচের দাম বেড়ে গেছে। বেশি দামে কেনার কারণে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।’

রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচাক ড. সরওয়ারুল হক জানান, ‘রংপুরে এবার স্থানীয় এবং হাইব্রিড জাতের মরিচ চাষ হয়েছে ১ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে। বন্যা বা বৃষ্টিতে ব্যাপকভাবে মরিচের ক্ষতি হয়নি বলে দাবি কৃষি বিভাগের এই কর্মকর্তার।

রংপুর জেলা প্রশাসনের বাজার মনিটরিং কর্মকর্তা সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসান মৃধা জানান, ‘আমরা অনেকেই কাজ করছি। বিষয়টি স্যারকে জানাবো। তিনি সংশ্লিষ্টদের বলে দেবেন।’

ভয়েস টিভি/এসএফ

You may also like