নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আবদুল কাদের মির্জার ডাকে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল চলছে। ২০ ফেব্রুয়ারি শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে কাদের মির্জার নেতৃত্বে হরতালের সমর্থনে বের হওয়া একটি মিছিলে পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে।
এতে কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে কাদের মির্জার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। হরতালের সমর্থনে তার সমর্থকেরা বিক্ষিপ্তভাবে বিভিন্ন এলাকায় পিকেটিং করছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে কাদের মির্জার নেতৃত্বে লাঠিসোঁটা হাতে হরতালের সমর্থনে মিছিল বের করেন নেতাকর্মীরা। মিছিলটি বসুরহাট রুপালি চত্বর থেকে থানার দিকে যায়। এ সময় থানার সামনে অবস্থানকারী পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয় কাদের মির্জারের। একপর্যায়ে কাদের মির্জা মিছিল নিয়ে সামনের দিকে এগোতে থাকলে পেছন থেকে পুলিশ ধাওয়া দেয় এবং লাঠিচার্জ করে। এ সময় মিছিলকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে ছড়িয়ে গেলেও কাদের মির্জা সড়কের ওপর প্রায় আধা ঘণ্টা বসে থাকেন। পরে দলীয় ও পরিবারের লোকজন তাকে সেখান থেকে পৌরসভা কার্যালয়ে নিয়ে যান।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, সকালে কাদের মির্জার নেতৃত্বে তার অনুসারীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে থানার দিকে হামলা করতে আসেন। এ সময় থানার সামনে অবস্থাকারী জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ করে কাদের মির্জা অশালীন উক্তি ও মারমুখী আচরণ করেন। একপর্যায়ে কাদের মির্জা সমর্থকদের নিয়ে থানার ভেতরে ঢুকে পড়তে উদ্যত হলে পুলিশ ধাওয়া করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় কাদের মির্জা থানার সামনে সড়কের ওপর প্রায় আধা ঘণ্টা বসে থাকেন।
জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) আলমগীর হোসেন জানান, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ সর্তক অবস্থানে আছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
নোয়াখালী ও ফেনীর দুই সাংসদের অপরাজনীতি বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং নোয়াখালীর ডিসি, এসপি, কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি ও পরিদর্শক তদন্তকে প্রত্যাহারসহ বিভিন্ন দাবিতে আবদুল কাদের মির্জার ডাকে গত বৃহস্পতিবার হরতাল পালিত হয়।
এদিকে গতকাল বিকেল ৫টার দিকে চাপরাশিরহাট বাজারসংলগ্ন এলাকায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদল ও কাদের মির্জার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে।
ভয়েস টিভি/এসএফ
