রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে বাসায় ঢুকে এক নারীকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। ২ অক্টোবর শুক্রবার রাতে গুরুত্বর আহতাবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত সেলিনা বেগম এসএম ওবায়দুল্লাহর স্ত্রী। তিনি কামরাঙ্গীরচরের হুজুরপাড়ার আমির হামজা রোডে নিজ বাসায় অবস্থান করছিলেন।
আকিজুল ইসলাম নামে ওই নারীর এক আত্মীয় বলেন, সেলিনা বেগম আমার চাচী। তারা চার সন্তান নিয়ে নিজের চারতলা বাসার দ্বিতীয় তলায় থাকতেন। পাশেই আমাদের বাসা। রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাসার সামনে ভিড় দেখে এগিয়ে গিয়ে চাচীকে রক্তাক্ত অবস্থায় একটি অটোরিকশায় উঠাতে দেখি। এসময় চাচা আমাকে বলেন ‘সবশেষ হয়ে গেছে। তোর চাচীকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে চল।’
চাচিকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেলে স্থানান্তর করেন চিকিৎসক। পরে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক চাচীকে মৃত ঘোষণা করেন।
চিকিৎসকরা জানান, সেলিনা বেগমের গলা ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তিনি মারা যান।
ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের সহকারী উপপরিদর্শক আব্দুল খান জানান, নিহত সেলিনার গলাসহ শরীরের বেশ কয়েক জায়গায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে রয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। ঘটনাটি কামরাঙ্গীরচর থানাকে অবগত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে কামরাঙ্গীরচর থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, প্রাথমিকভাবে আমরা জানতে পেরেছি চারতালা বাসার নিচতলায় আগে ভাড়াটিয়া ছিল। তারা বাসা ছেড়ে দিলেও কিছু মালামাল রেখে যায়। আজ সেগুলো নিতে এসে দুই যুবক তাদের বাসায় প্রবেশ করে। দ্বিতীয় তলায় গিয়ে সেলিনাকে বলেন, ‘আপনার স্বামীর সঙ্গে কথা হয়েছে, আমরা মালামাল নিতে আসছি।’ ওই যুবকদের সাথে নিহতের কথোপকথন মেয়ে ইতি শুনেছেন।
তিনি আরও বলেন, এর এক পর্যায়ে সেলিনাকে উপর্যুপরি ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে ওই দুই যুবক পালিয়ে যায়। তবে বাসায় প্রবেশের আগে নিহতের স্বামীকে ওবায়দুল্লাহকে কল দিয়েছিল ওই দুই যুবক। নিহতর স্বামী বাইরে থাকায় এ সুযোগ নেয়া তারা। বিষয়গুলো আমরা তদন্ত করে দেখছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ কাজ করছে।
ভয়েস টিভি/এমএইচ