Home অপরাধ রিমান্ড শেষে কারাগারে সাহেদ

রিমান্ড শেষে কারাগারে সাহেদ

by Amir Shohel

সাতক্ষীরা: অস্ত্র মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড শেষে রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ করিমকে র‌্যাব সাতক্ষীরা আদালতে হাজির করলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

৫ আগস্ট বুধবার বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তাকে সাতক্ষীরা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক রাজীব কুমার রায়ের আদালতে হাজির করা হলে তিনি এ নির্দেশ দেন।

সাতক্ষীরা কোর্টের পুলিশ পরিদর্শক অমল রায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে, গত ২৬ জুলাই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) সাতক্ষীরা ক্যাম্পের উপপরিদর্শক (এসআই) রেজাউল করিমের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দেবহাটা থানায় দায়েরকৃত অস্ত্র মামলায় আলোচিত প্রতারক সাহেদ করিমের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন আদালত।

২৬ জুলাই রোববার প্রতারণার চার মামলায় রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদের ২৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মহানগর হাকিম আদালত। একই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাসুদ পারভেজকে ২১ দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়।

সাহেদও মাসুদ দুজনই ১০ দিনের রিমান্ডে ছিলেন। সেই রিমান্ড শেষে ২৬ জুলাই সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় তিন ও উত্তরা পূর্ব থানায় প্রতারণার এক মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাদের আদালতে হাজির করে। এরপর তাদের দুই জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিন করে মোট ৪০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে। এ সময় তাদের রাখা হয় আদালতের হাজতখানায়। শুনানি শেষে চার মামলায় সাহেদের ২৮ দিন এবং তিন মামলায় মাসুদ পারভেজের ২১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

চলতি মাসের ১৬ তারিখে সাহেদ-মাসুদ ও তরিকুলকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় দায়ের করা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তিনজনের ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক এস এম গাফফার আলম। অপরদিকে তাদের আইনজীবী নাজমুল হোসেন রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে সাহেদ ও মাসুদের ১০ দিনের এবং তরিকুলের সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মহানগর হাকিম মো. জসিম।

এর আগে কোভিড-১৯ চিকিৎসায় রিজেন্ট হাসপাতালের ভয়াবহ জালিয়াতি ধরা পড়ার পর ৮ জুলাই গ্রেফতার হন তরিকুল। ১০ জুলাই তাকে আদালতে হাজির করে এক সপ্তাহের রিমান্ড চাওয়া হলে আদালত পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত ১৫ জুলাই সাতক্ষীরা জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে টেস্টের ভুয়া রিপোর্ট প্রদান, অর্থ আত্মসাতসহ প্রতারণার অভিযোগে সাহেদকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। পরে তাকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় আনা হয়। মামলার ২ নম্বর আসামি মাসুদ পারভেজকে গাজীপুর থেকে গত ১৪ জুলাই গ্রেফতার করে র‌্যাব।

গত ৬ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন র‍্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম। অভিযানে ভুয়া করোনা টেস্টের রিপোর্ট, কোভিড-১৯ চিকিৎসার নামে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়সহ নানা অনিয়ম উঠে আসে।

প্রতারণাসহ বিভিন্ন অপরাধের দায়ে ৭ জুলাই রাতে উত্তরা পশ্চিম থানায় দণ্ডবিধি ৪০৬/৪১৭/৪৬৫/৪৬৮/৪৭১/২৬৯ ধারায় ১৭ জনকে আসামি করে একটি মামলা করা হয়। পরে মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশে (ডিবি) হস্তান্তর করা হয়।

ভয়েসটিভি/নিজস্ব প্রতিবেদক/এএস

You may also like