Home বিনোদন প্রয়াত নায়ক সালমান শাহ‘র অন্ধভক্ত কায়েস আরজু

প্রয়াত নায়ক সালমান শাহ‘র অন্ধভক্ত কায়েস আরজু

by Newsroom
কায়েস

ঢালিউডের এই প্রজন্মের প্রতিশ্রুতিশীল অভিনেতা কায়েস আরজুর চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় ২০০৭ সালে হাছিবুল ইসলাম মিজানের ‘তুমি আছো হৃদয়ে’ সিনেমার মাধ্যমে। এরপর একে একে বেশ কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি। প্রথম ছবিসহ একেএম ফিরোজ বাবুর ‘প্রেম বিষাদ’, মোহাম্মদ হোসেন জেমীর ‘বাজাও বিয়ের বাজনা’, আবুল খায়ের বুলবুল পরিচালিত ‘অবুঝ প্রেম’ সহ তার অতিনীত সিনেমাগুলোতে প্রতিভার উজ্জ্বল উপস্থিতি রাখেন আরজু।

সম্প্রতি শাপলা মিডিয়ার শত চলচ্চিত্রের মহরত অনুষ্ঠানে আসেন এই অভিনেতা। এসময় ভয়েস টিভির সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় ব্যক্তি জীবন ও অভিনয়ে আসার গল্প তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, ২০০৭ সালে হাসিবুল ইসলাম মিজানের ‘তুমি আছো হৃদয়ে’ সিনেমার মাধ্যমে শুটিং শুরু করি। এটি খুবই আলোচিত ও বেশ জনপ্রিয় সিনেমা। এ পর্যন্ত আমার মোট নয়টি ছবি মুক্তি পেয়েছে। সর্বশেষ ২০১৯ সালে মুক্তি পেয়েছে পরী মনি ও আমার অভিনীত শামিমুল ইসলাম শামীমের ‘আমার প্রেম আমার প্রিয়া’। মুক্তির অপেক্ষায় আছে আরও দুই-তিনটা সিনেমা। আরও দুই-তিনটা সিনেমার কাজ চলছে।

অভিনয় দিয়েই তিনি গড়ে তুলতে চান নিজের ভবিষ্যত। সবসময়ই তার ইচ্ছে গল্প প্রধান সিনেমায় অভিজ্ঞ চলচ্চিত্র নির্মাতার নির্দেশনা কাজ করার। নিজেকে সেভাবেই প্রস্তুত করছিলেন আরজু। প্রয়াত নায়ক সালমান শাহ‘র অন্ধভক্ত আরজু জানান চলচ্চিত্রে আসার গল্প।

তিনি বলেন, আমি প্রয়াত নায়ক সালমান শাহ‘র অন্ধভক্ত। তখন তো ছোট ছিলাম, উনার ছবিগুলো দেখতাম। উনার অভিনয় এবং এক্সপ্রেশনসহ সবকিছু কেনো যেন মনে হতো আমি এই মানুষটাকে লালন করবো। তারপর তো উনি পৃথিবী থেকে বিদায় নিলেন। তখন থেকেই মনে মনে একটা সিদ্ধান্ত নিতে থাকলাম, অভিনয় করবো। ফিল্মেই যে করবো, ওরকম না।

কায়েস

আরজু বলেন, চট্টগ্রামে একটা গ্রুপ থিয়েটারে কাজ করতাম। ঢাকায় এসেও গ্রুপ থিয়েটারে কাজ করতাম। পরবর্তীতে কখনো কোথাও কোনো অফিসে গেলে সবাই বলতো, তুমি ফিল্ম করো। কয়েকটি জায়গায় অফার পেলাম। তারপর মনে হলো ফিল্ম করা যাবে মনে হয়। আমার ভিতর হয়তো ফিল্মেটিক কোনো কিছু উনারা (পরিচালকগণ) দেখেন। এভাবেই ফিল্মে আসা।

গত ১৬ ফেব্রুয়ারি অন্যতম বৃহৎ প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান শাপলা মিডিয়া ১০০ সিনেমা নির্মাণের ঘোষণা দেয়। এ ঘোষণায় চলচ্চিত্র পাড়ায় বেশ আমেজ সৃষ্টি হয়েছে। অন্যান্যদের মতো উচ্ছ্বসিত এ অভিনেতাও।

কায়েস আরজু বলেন, আমি এসে এখানকার খারাপ অবস্থাটাই দেখছি। ধারাবাহিকভাবে শিল্পটি ধ্বংসের দিকেই যাচ্ছে। আর মহামারি করোনার জন্যে তো অবস্থা আরও খারাপ। সারা পৃথিবীর অবস্থাই খারাপ। সেই অবস্থা থেকে উত্তোরণের জন্যে গত ১০ বছর ধরে অনেকেই চেষ্টা করেছেন। সর্বশেষ যে ব্যক্তিটি চেষ্টা করছেন, তিনি হলেন শাপলা মিডিয়ার কর্ণধার মোঃ সেলিম খান ভাই। এর আগে উনি বড় বড় বাজেটের ছবি করছেন। কিন্তু এবারের ঘোষণাটা একটা অচল ইন্ডাস্ট্রিকে সচল করার জন্যে সর্বোচ্চ যে গতিবেগ দরকার, একেবারে সেটাই।

তিনি আরও বলেন, অচল ইন্ডাস্ট্রিকে সচল করার জন্যে এর থেকে বড় উদ্যোগ আমার মনে হয় আর হয়নি বা কেউ নেননি। সামনে দিনগুলোতে আমরা সবাই যে একটা সোনালী অধ্যায় ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করছি, এ উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা সেটা ফিরে পেতে পারবো বলে মনে করছি। যদি এই ধারা ও গতিবেগ অব্যহত থাকে।

শাপলা মিডিয়ার ১০০ সিনেমার মধ্যে লটারির মাধ্যমে বাছাই করা ১০ সিনেমার শুটিং পৃথকভাবে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে। এর মধ্যে জাফর আল মামুনের পরিচালনায় `এক পশলা বৃষ্টি‘ সিনেমায় অভিনয় করছেন কায়েস আরজু। এতে আরও আছেন আসিফ নূর ও আঁখি আঁচল।

কায়েস

সিনেমাটির মাধ্যমে প্রথমবার কায়েস আরজু ও আচঁলের রসায়ন দেখতে পারবে দর্শক। এছাড়া প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান শাপলা মিডিয়া ও পরিচালক জাফর আল মামুনের সঙ্গেও এটাই আরজুর প্রথম কাজ।

অভিনেতা আরজু বলেন, ‘এক পশলা বৃষ্টি’ মূলত একটা পিওর প্রেমের ছবি। আমি এত দিন যে ধরনের ছবিতে অভিনয়ের জন্যে মুখিয়ে ছিলাম, বলা যায় এই ছবির গল্প তেমনই। একটা হৃদয় বিদারক প্রেমের কাহিনী উঠে আসবে এই ছবিতে।

তিনি বলেন, আমরা অতীতে বহুবার দেখেছি ছবি চলে গল্পে। গল্প ভালো না হলে সেই ছবি বেশি সময় আলোচনায় থাকতে পারে না। এই ছবির গল্প শুনে আমার মনে হয়েছে গদবাঁধা ছকের বাইরে হৃদয়স্পর্শী কিছু একটা হতে যাচ্ছে। শুটিং প্রায় শেষের দিকে। সব কিছু ঠিক থাকলে আশা করি দর্শকরা নিরাশ হবে না।

আরজু উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, এই মুহূর্তে দেশের বড় প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান শাপলা মিডিয়ার সঙ্গে এই সিনোমাটিসহ মোট তিনটি সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছি। সিনেমার গল্পগুলোতে থাকছে নতুনত্ব। আশা করছি সিনেমাগুলো থেকে দর্শক বিনোদনের ভালো উপকরণ পাবেন।

আরও পড়ুন : এবার বড় পর্দায় বাপ্পী-দীঘির রসায়ন

ভয়েস টিভি/এমএইচ

You may also like