Home সারাদেশ চাঁদ দেখে যেভাবে আসে ঈদের ঘোষণা

চাঁদ দেখে যেভাবে আসে ঈদের ঘোষণা

by Newsroom

ভয়েস ডেস্ক: সবার মনে প্রশ্ন একটাই। ঈদ কাল না কী পরশু। তবে এ প্রশ্নের উত্তর অনেকটাই সহজ করে দিয়েছে সৌদিআরবসহ মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলো। কারণ সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে শুক্রবার সন্ধ্যায় ১৪৪১ হিজরি সনের পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে এসব দেশে রমজান মাস ৩০ দিনেই পূর্ণ হবে। আর ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে ২৪ মে অর্থাৎ রোববার।

সাধারণত সৌদি আরবের একদিন পর বাংলাদেশে ঈদ ও রোজা হয়ে থাকে। এ হিসেবে দেশে সোমবার ঈদুল ফিতর হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। যদিও এ বিষয়টি পুরোপুরি নির্ভর করে চাঁদ দেখার ওপর।

তাহলে প্রশ্ন ওঠে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি কিভাবে কাজ করে। প্রত্যেক আরবি মাসের সম্ভাব্য শেষ দিনে অর্থাৎ ২৯ এবং ৩০ তারিখে বৈঠকে বসে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি। ২৯ তারিখে দেশের কোথাও চাঁদ দেখার খবর পাওয়া গেলে পরদিন থেকে নতুন মাস গণনার ঘোষণা দেয়া হয়। নুতবা ৩০ দিন পূর্ণ করে পরবর্তী বৈঠকে নতুন মাসের ঘোষণা করা হয়।

সারাবছর এই কাজটি নিশ্চুপে হলেও শাবান এবং রমজান মাসে বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখা হয়। এসময় সারাদেশের সবস্তরের মানুষ তাকিয়ে থাকে এই কমিটির দিকে।
চাঁদ দেখার মূল দায়িত্ব পালন করে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের দীনি দাওয়াত ও সংস্কৃতি বিভাগ। এই বিভাগের পরিচালনায় ধর্মমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি জাতীয় চাঁদ দেখো কমিটি থাকে। কমিটির সদস্য সচিব থাকেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক।

জানা যায়, চাঁদ দেখার জাতীয় কমিটির পাশাপাশি সারাদেশে জেলা ভিত্তিক একটি করে কমিটি থাকে। জাতীয় কমিটি সারাদেশে জেলা কমিটি থেকে তথ্য সংগ্রহ করে। দেশের কোথাও চাঁদ দেখা গেলে জেলা কমিটি দ্রুত সময়ে সেটি জাতীয় কমিটিকে জানায়।

স্থানীয় অনেকে চাঁদ দেখেছে কি-না কিংবা স্থিরচিত্র বা ভিডিও চিত্র এসব দ্রুত সংগ্রহ করে নিশ্চিত হয়ে থাকে স্থানীয় প্রশাসন। এসবের পরেই তারা জাতীয় কমিটিকে তথ্য সরবরাহ করা হয়। একই সাথে সারাদেশে ৭৪টি আবহাওয়া স্টেশন থেকে তথ্য সংগ্রহ করে জাতীয় কমিটি।

চাঁদ উঠলে সেটি দেশের কোথাও না কোথাও দেখা যায়। মানুষের চোখে বা আবহাওয়া স্টেশনের সাহায্যে নিশ্চিত হলেই কেবল ঈদ উদযাপনের ঘোষণা দেয়া হয়।
এদিকে চাঁদ উঠলে সেটি কোথায় কত ডিগ্রিতে অর্থাৎ তার অবস্থান কি হবে এবং কতক্ষণ সময় ধরে দেখা যেতে পারে সেজন্য আবহাওয়া অফিসের একটি বিভাগ আগে থেকেই বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতেই হিসেব নিকেশ করে স্টেশনগুলোকে জানিয়ে দেয়।

তার ওপর ভিত্তি করে সবগুলো স্টেশন কাজ করে এবং সম্ভাব্য সময়টিতে সম্ভাব্য স্থানে খালি চোখে বা যন্ত্রের সাহায্যে চাঁদ দেখা হয়। তারা বলছে একটি নতুন চাঁদ দৃশ্যমান হতে ৩০ ঘণ্টাও সময় লাগতে পারে। এক্ষেত্রে অপটিক্যাল থিওডিলাইট নামে একটি উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন টেলিস্কোপ দিয়ে আবহাওয়া স্টেশনগুলো কাজ করে থাকে। তবে চাঁদ উঠলে সেটি কোথাও না কোথাও খালি চোখে না হলেও টেলিস্কোপে ধরা পড়বেই।

You may also like