Home সারাদেশ ৩ বছর কিশোরীকে ধর্ষণ, শেষ রক্ষা হলো না দুই আওয়ামী লীগ নেতার

৩ বছর কিশোরীকে ধর্ষণ, শেষ রক্ষা হলো না দুই আওয়ামী লীগ নেতার

by Shohag Ferdaus
আওয়ামী লীগ

ফেনীর দাগনভূঞায় কিশোরীকে (১৫) তিন বছর ধরে ধর্ষণ করেছেন এক আওয়ামী লীগ নেতা। আরেক নেতা তিন মাস ধরে ধর্ষণ করে আসছেন ওই কিশোরীকে। এর মধ্যে ওই কিশোরী গর্ভবতী হলে গোপনে গর্ভপাতও করানো হয়। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। ৪ নভেম্বর বুধবার রাতে স্থানীয় ওই দুই আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, খবর পেয়ে বুধবার রাতে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। এ ঘটনায় ৫ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে ধর্ষিত ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। এ মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। আর বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেফতাররা হলেন- উপজেলার মাতুভূঞা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও হারবাল চিকিৎসক করিম মহাজন এবং ইয়াকুবপুর ইউনিয়নের শরীফপুর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসেন।

ওই কিশোরীর মা জাহানারা বেগম জানান, পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বেতুয়া গ্রামের আলমগীরের বাসায় দীর্ঘদিন ধরে ভাড়া থাকেন তারা। এই সুযোগে নানা প্রলোভন দেখিয়ে আমার মেয়েকে ধর্ষণ করে হারবাল চিকিৎসক করিম মহাজন। অপরদিকে একা পেয়ে বেলাল হোসেনও তাকে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে মেয়ে গর্ভবতী হয়ে পড়লে করিম মহাজন কৌশলে গর্ভপাত করান। ঘটনা জানাজানি হলে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে টাকা দিয়ে মীমাংসার চেষ্টাও করে তারা।

ধর্ষণের শিকার মেয়েটি জানায়, করিম মহাজন দীর্ঘ তিন বছর যাবত আমাকে ধর্ষণ করেছে। ধর্ষণের ফলে আমি গর্ভবতী হয়ে পড়লে গর্ভের সন্তান নষ্ট করেন তিনি। বেলাল হোসেনও তিন মাস যাবত আমাকে ধর্ষণ করে আসছে।

করিম মহাজন উপজেলার মাতুভুঞা ইউনিয়নের মোমারিজপুর গ্রামের মো. ইস্রাফিলের ছেলে এবং বেলাল হোসেন ইয়াকুবপুর ইউনিয়নের শরীফপুর গ্রামের আবুল হাসেমের ছেলে।

ভয়েস টিভি/এসএফ

You may also like