কুমিল্লায় বজলুর রহমান (৬৫) নামে এক সাবেক ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা করেছে তার দ্বিতীয় স্ত্রী মোমেনা বেগম (২৮)। বরুড়া উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের জালগাঁও (মেম্বার বাড়ি) গ্রামে
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বজলুর রহমানের প্রথম স্ত্রী অসুস্থ থাকায় গত ১০ বছর পূর্বে একই গ্রামের শরাফত মিয়ার মেয়ে মোমেনাকে বিবাহ করেন। বিয়ের সাত বছর পর তাদের একটি ছেলে জন্ম হয়। প্রায় সময় স্বামী বজলুর রহমানের সঙ্গে স্ত্রী মোমেনা ঝগড়া লেগে থাকতো।
কিন্তু গত ৩১ জানুয়ারী দিবাগত রাতে হঠাৎ ঝগড়া লেগে বজলুর রহমানকে মারাত্বকভাবে কুপিয়ে আহত করে। পরে আহতাবস্থায় প্রথমে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরে ঢাকার মাতুয়াইলের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। গত ৬ ফেব্রুয়ারি চিকিত্ধীন অবস্তায় তার মৃত্যু হয়।
পরে বজলুর রহমানের পুত্র আবুল হোসেন বাদী হয়ে বরুড়া থানায় চারজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। নিহত বজলুর রহমানের প্রথম স্ত্রীর চার ছেলে।
আসামীরা হলেন, একই গ্রামের শরাপত আলীর মেয়ে বজলুর রহমানের স্ত্রী মোমেনা বেগম (২৮), মোমেনার ছোট ভাই জোবায়ের হোসেন (২৫), মোমেনার মা মহিপাল (৫৫) ও প্রতিবেশী মৃত জলপে আলীর ছেলে ডা. জহির (২৪)। এ ঘটনায় মোমেনাসহ দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এ বিষয়ে মামলার বাদী আবুল হোসেন বলেন, আমার বাবাকে মোমেনা ও তার মা, ভাই ও ডা. জহির কুপিয়ে হত্যা করেছে। আমরা তার বিচার চাই।
এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বরুড়া থানা পু্লিশের উপ-পরিদর্শক উত্তম কুমার সরকার বলেন, এ মামলার ১ ও ৩ নম্বর আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। আশা করি দ্রুত সবাইকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
ভয়েস টিভি/এমএইচ