Home সারাদেশ কুড়িগ্রামে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল

কুড়িগ্রামে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল

by Newsroom

কুড়িগ্রামের রাজারহাট বাজারের ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করেছে ব্যবসায়ীরা। ২২ জানুয়ারি শুক্রবার তার এ দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচিও পালন করে।

জানা যায়, পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার বিষয়ে কুড়িগ্রাম পাট উন্নয়নের সহকারী কর্মকর্তা মোছা. রওশন আরা বেগমের উদ্যোগে রাজারহাট বাজারে গত ১৯ জানুয়ারি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. নূরে তাসনিমের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচাালিত হয়। এ সময় তিন ব্যবসায়ীর দোকানে প্লাস্টিকের বস্তায় চাল রাখার দায়ে এক হাজার টাকা করে জরিমানা আদায় করা হয়।

এ সময় কিছু ব্যবসায়ী একত্র হয়ে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনায় বাধা প্রদান করে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে। পরদিন ২০ জানুয়ারি কুড়িগ্রাম পাট উন্নয়নের সহকারী কর্মকর্তা মোছা. রওশন আরা বেগম বাদী হয়ে সরকারি কাজে বাধা প্রদানের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।

মামলায় চাল ব্যবসায়ী কমল চন্দ্র মহন্ত (৪০), পুতুল রায় (৪৫) ও আবুল কালামসহ (৫০) অজ্ঞাত নামীয়র বিরুদ্ধে রাজারহাট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এরই প্রেক্ষিতে ২১ জানুয়ারি রাতে উপজেলা সদর বণিক সমিতির এক জরুরি সভায় শুক্রবার সকাল-সন্ধ্যা দোকান পাট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শুক্রবার রাজারহাটে প্রধান প্রধান সড়কে বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন ও সকাল-সন্ধ্যা দোকান পাট বন্ধ রেখে হরতাল পালন করে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানায় ব্যাবসায়ীরা।

রাজারহাট চাল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. রহমত উল্লাহর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের কাছে ভারতীয় এলসিতে নিয়ে আসা প্লাষ্টিকের চালের বস্তা ছিল। এ কারণে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা করা হয়। এরপরও ওই ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মামলাও দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে রাজারহাট উপজেলা সদর বণিক সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব আমজাদ হোসেন বলেন, কিছু উৎসুক মানুষ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে। তাই ২০ জানুয়ারি সকাল ১১টায় রাজারহাট সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও অপরাধী ব্যবসায়ীসহ ২০ জন ব্যবসায়ী ইউএনওর কার্যালয়ে গিয়ে ভূল স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করা হয়েছে। এরপরও তিনি ওই দিন রাতেই মামলা দায়ের করেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. নূরে তাসনিম বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় চালের দোকানে প্লাষ্টিকের দেশিয় চালের বস্তা রাখার দায়ে তিনজনের জরিমানা আদায় করে সতর্ক করে দেয়া হয়। তাৎক্ষণিক অন্য ব্যবসায়ীরা আদালতকে পরিচালনায় বাধা প্রদান করে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। আমি বিজ্ঞ আদালতের কাছে বিচার প্রার্থনা করেছি।

ভয়েস টিভি/এমএইচ

You may also like