Home সারাদেশ কুড়গ্রিামের হলুদ ফুলে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন

কুড়গ্রিামের হলুদ ফুলে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন

by Mesbah Mukul

কুড়গ্রিামে জলোর ফসলি জমির মাঠ ছেয়ে গেছে হলুদ সরষিা ফুলে। প্রতিটি ফুলে দুলছে কৃষকরে স্বপ্ন। প্রায় ১৩ হাজার ৫শ হক্টের জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নর্ধিারণ করেছে কুড়গ্রিাম কৃষি সম্প্রসারণ অধদিপ্তর। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।

জমিতে সরিষা বপনের পর চারা গাছ পরিপক্ক হতে তিন মাসের মতো সময় লাগে। তিন মাস পার ফুল আসতে লাগে আরও একমাস। এরপর দেড় মাসের মাথায় ফুলে সরিষা ধরে। জলোর দিগন্ত জোড়া মাঠ ঘুরে সরিষা চাষের এমনই চিত্র দেখা যাচ্ছে।

কুড়গ্রিাম কৃষি সম্প্রসারণ অধদিপ্তরের তথ্য অনুযায়ী চলতি মৌসুমে কুড়গ্রিামের ৯ টি উপজলোর ১৩ হাজার ৫শ হক্টের জমতিে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নর্ধিারণ করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত ১০ হাজার ২শ ৫০ হক্টের জমিতে সরিষার চাষ করতে সক্ষম হয়েছে। বাকি জমি ফলনের অপেক্ষায় রয়েছে।

স্থানীয় কৃষক রবিউল ইসলাম জানান, ‘এঁটেল-দোআশ মাটিতে সরষিার চাষ সব থেকে ভালো হয়। ফলন ভালো হলে প্রতি বিঘা জমিতি ৫-৬ মণ সরিষা পাওয়া যাবে। আর বেশি কুয়াশা হলে সরিষা ক্ষেতের ক্ষতি হতে পারে।’ 

বানিয়া পাড়া গ্রামের রফকিুল ইসলাম বলেন, ‘এ বছর বন্যায় কিন্তু আমন চাষে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। এখন চার একর জমিতে সরিষা চাষ করেছি। ফলন বাম্পার হয়েছে বলা যায়। বাজার যদি ভালো থাকে তাহলে ২ হাজার টাকা মণ বিক্রি করে আমনের ক্ষতিটা পুষিয়ে নিতে পারবো।’

ওই গ্রামের খালকে বলনে, ‘আমার সরিষা খুবই ভালো হয়েছে। আবহাওয়া যদি অনুকূলে থাকে আর বাজারে যদি দাম ভালো পাই তাহলে লাভবান হতে পারবো। যদি দাম কমে যায় তাহলে ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।’

কৃষি সম্প্রসারণ অধদিপ্তররে উপ-পরচিালক মঞ্জুরুল হক বলনে, ‘বন্যার কারণে সরিষা চাষ একটু দেরিতে হয়েছে। সঠিক পরিচর্যা পেলে ও আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এবার কুড়গ্রিামে সরষিার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।  আশা করছি আমাদের লক্ষ্য অর্জিত হবে।’

ভয়েসটিভি/এমএম

You may also like