স্বাস্থ্য অধিদফতরে চাকরি করেন তৃতীয় শ্রেণির ১০ কোটিপতি কর্মচারী। ৪৫ জনের তালিকায় রয়েছেন সচিব, পরিচালকও। সম্প্রতি শত কোটির মালিক স্বাস্থ্যের গাড়ি চালক মালেক গ্রেফতারের পর বেরিয়ে এসেছে ভয়াবহ দুর্নীতির চিত্র। দুর্নীতি করে কোটিপতি হওয়া সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তালিকাটা বেশ লম্বা।
স্বাস্থ্যখাতে সিন্ডিকেটের জোরেই দুর্নীতি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছে বলে দাবি করেছেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।
তিনি বলেন, এখানে সিন্ডিকেটরা সুপ্রতিষ্ঠিত। এখন পর্যন্ত যাদেরকে আটক করা হয়েছে; তারা নিম্ন শ্রেণির কর্মকর্তা ও কর্মচারী। তাদেরকে চিহ্নিত করে জবাবদিহিতার আওতায় নিয়ে আসতে হবে এবং বিচারের আওতায় আনতে হবে।
গত এক বছর ধরে অন্তত ৪৫ জনের অবৈধ সম্পদের উৎস খুঁজছে দুর্নীতি দমন কমিশন। ড্রাইভার, অফিস সহকারী, স্টোর কিপার তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী থেকে কোটিপতি বনে গেছেন অন্তত ১০ জন। এ তালিকায় নাম রয়েছে অধিদফতরের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজের নানা পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। প্রত্যেকের নামেই রয়েছে অস্বাভাবিক সম্পদ উপার্জন, বিলাসবহুল গাড়ি ব্যবহার, ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ। আবার সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তাও রয়েছেন এ তালিকায়।
দুর্নীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, সিন্ডিকেটের যোগসাজশে মন্ত্রণালয়ের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ছড়িয়ে পড়েছে দুর্নীতি। এর মূল উপড়ে ফেলতে ধরতে হবে রাঘব বোয়ালদেরও।
এত দুর্নীতির দায় মন্ত্রণালয় এড়াতে পারে না বলে মনে করেন স্বাচিপ সভাপতি ইকবাল আর্সনাল। তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্য অধিদফতর ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা যে পরিমাণে দুর্নীতি ও অনিয়মের মধ্যে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন; তার দায় এড়ানোর সুযোগ নেই।
দুর্নীতির লাগাম টানতে রাঘব বোয়ালদেরও আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন বলে মনে করেন তারা।
ভয়েস টিভি/এসএফ