ফুলগাজী উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। তবে বন্যার পানি চলে যাওয়ার সঙ্গে ফুটে উঠছে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র। বন্যায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন নিম্ন আয়ের হতদরিদ্র, দিনমজুর ও প্রান্তিক কৃষকেরা। স্থানিয়দের অভিযোগ,স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ না করায় প্রতিবছর বন্যায় চরম ক্ষতির শিকার হচ্ছেন তারা।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়,গত শনিবার রাতে ভারতের ত্রিপুরা থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও বর্ষণে ফুলগাজী উপজেলায় মুহুরী নদীর ২টি স্থানে বাঁধ ভেঙ্গে ৫ টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বর্তমানে পানি বিপদ সীমার নিচে থাকলেও নদী গুলোর বাঁধের ভাঙ্গা অংশ দিয়ে এখনো পানি প্রবেশ করছে। ফলে ওইসব এলাকার নিম্নাঞ্চল পানিতে তলিয়ে রয়েছে। এরইমধ্যে বন্যায় ঘর-বাড়ি, ফসলি জমিসহ অনেক গ্রামীন সড়ক নষ্ট হয়েছে।
আর জনপ্রতিনিধিসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা বাঁধ মেরামতের নামে নিম্নমানের কাজ করে টাকা লুটেপুটে খাচ্ছেন।পাশাপাশি বন্যা পরবর্তী সময় ত্রাণের নামে ফটোশেসন করছেন। তাই ত্রাণ নয়,তারা চান টেকশই বাঁধ নির্মান।
এদিকে জেলা কৃষি ও মৎস্য বিভাগ ভয়েস টেলিভিশনকে জানিয়েছে, ‘বন্যায় ১০৫ হেক্টর রোপা আমন (পাকা ধান), ৬ হেক্টর ফসলসহ শতাধিক পুকুরের ২২ লাখ টাকার ২ লাখ পোনা মাছ ভেসে গেছে।
ফুলগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেছেন, দ্রুত ভাঙ্গন বাধঁ মেরামত করা ও ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে সহযোগিতার করা হবে।