Home রাজনীতি খালেদা জিয়ার নির্বাচনী এলাকায় বিএনপির প্রার্থী নেই

খালেদা জিয়ার নির্বাচনী এলাকায় বিএনপির প্রার্থী নেই

by Newsroom
খালেদা জিয়ার

বিএনপির চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নির্বাচনী এলাকা হিসেবে
পরিচিত ফেনী-১ আসনের পরশুরাম পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিলর পদে নেই দলীয় প্রার্থী। সরকার দলীয়দের হামলা হুমকির ভয়ে কোনো নেতাকর্মী মেয়র-কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হতে সাহস পাচ্ছে না বলে অভিযোগ পরশুরাম উপজেলা বিএনপির।

১৭ জানুয়ারি রোববার নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন হলেও শুক্রবার পর্যন্ত বিএনপির কোনো দলীয় প্রার্থীর নাম জানাতে পারেনি উপজেলা বিএনপি।

জানা গেছে, বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া পাঁচবার ছাগলনাইয়া, পরশুরাম ও ফুলগাজী উপজেলা নিয়ে গঠিত ফেনী-১ নির্বাচনী আসন থেকে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন। ফেনী-১ আসনটি বিএনপি অধ্যুষিত ও খালেদা জিয়ার নিজের নির্বাচনী আসন হিসেবে পরিচিত।

বর্তমান সরকারের আমলে রাজনীতিকভাবে অনেকটাই কোনঠাসা বিএনপিসহ বিরোধীদলগুলো। এ ছাড়া ফেনীর ওই আসনের তিনটি উপজেলায় বিএনপির ব্যাপক জনসমর্থন থাকলেও সাংগঠনিক অবস্থা খুবই দুর্বল। পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটেও অভ্যন্তরীণ বিবাদ কমছে না বলে অভিযোগ সাধারণ নেতাকর্মীদের।

বিগত নির্বাচনে ওই আসনে বিএনপির প্রার্থী ঢাকা দক্ষিণের যুবদল সভাপতি ও বর্তমানে ফেনী-১ আসনে বিএনপির সমন্বয়ক রফিকুল আলম মজনুর ব্যাপক তৎপরতায় দলে কিছুটা চাঙ্গা ভাব দেখা গেছে। তবে এক থেকে দেড় যুগ আগের নিষ্কিয় কমিটিগুলো বিলুপ্ত করে সম্প্রতি তিন উপজেলায় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনগুলোর আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়।

নেতাকর্মীদের একটি অংশ নিজেদের আহবায়ক কমিটিতে পদ বঞ্চিত অভিযোগ করে পাল্টা-পাল্টি মিছিল-সমাবেশ করে বিবাদে জড়িয়ে পড়েছে ।

অপরদিকে, ছাগলনাইয়া উপজেলায় বিএনপির নেতৃস্থানীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক মামলা খুব একটা নেই। মধ্যম সারির কিছু নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা থাকলেও দলীয় কর্মসূচি পালনে খুব একটা বাঁধা দিতে দেখা যায় না।

পরশুরাম ও ফুলগাজীতে বিএনপির দলীয় কর্মসূচিগুলোতে বাঁধা দেয়া ও হামলার অভিযোগ স্থানীয় বিএনপি নেতাদের। ওই দুই উপজেলায় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলায় নেতাকর্মীরা জর্জরিত বলে অভিযোগ রয়েছে।

বিগত সময়ে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে সরকার সমর্থকের বাঁধা ও হামলার ধারাবাহিকতায় গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় অনেক নেতাকর্মী আহত হয়। ওই ঘটনায় আহত অনেকে এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে জানিয়েছেন বিএনপির নেতারা।

আসন্ন পরশুরাম পৌরসভার নির্বাচনকে সামনে রেখে হামলার ঘটনার কথা উল্লেখ করে সংবাদ বিবৃতির মাধ্যমে অভিযোগ করে দলটির নেতার।

পৌরসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে মেয়র পদে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রোকন উদ্দিন লিটন, পৌর বিএনপির আহবায়ক কাজী ইউসুফ মাহফুজ, যুগ্ম আহবায়ক মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদসহ কয়েকজনের নাম নেতাকর্মীদের প্রচারণায় আসে। কাউন্সিলর পদেও অনেকে প্রার্থী হওয়ার আগ্রহ দেখিয়েছিল।

কিন্তু সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের হামলা ও হুমকি-ধামকির মধ্যে ভয়ের কারণে কেউ প্রার্থী হওয়ার সাহস পাচ্ছে না বলে জানিয়েছে পরশুরাম উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আবদুল হালিম ।

এ ব্যাপারে জানতে পরশুরাম পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র নিজাম উদ্দিন সাজেলের নম্বরে একাধিকবার ফোন ও এসএমএস পাঠিয়েও সাড়া পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরশুরাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন মজুমদার বিএনপির অভিযোগকে মিথ্যা ও বানোয়াট উল্লেখ করে বলেন, ফেনী পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপি ভোট করছে। পরশুরামে তাদের কোথাও বাঁধা দেয়ার ঘটনা ঘটেনি। তাদের নিজেদের দুর্বলতা ও অভ্যন্তরীণ দ্বন্ধের কারণেই তারা হয়তো নির্বাচনে প্রার্থী দিতে পাচ্ছে না।

ভয়েস টিভি/এমএইচ

You may also like