যারা গণতন্ত্র ধ্বংস করে তারা অবৈধভাবে ক্ষমতায় বসে দেশকে অস্থিতিশীল করে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৪ মার্চ বৃহস্পতিবার গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি ‘বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ’, এনএসটি ফেলোশিপ এবং গবেষণা-অনুদান বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে শিক্ষাখাত নিয়ে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে আর শিক্ষাকে বহুমুখী করে দেওয়া হচ্ছে। পাবনার রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাশাপাশি দেশের দক্ষিণাঞ্চলে আরো একটি পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে।
তিনি আরও বলেন, করোনার কারণে সুরক্ষা দিতেই একবছর ধরে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে- এ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ভ্যাকসিন দেয়া শেষ হলেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে। শিক্ষাকে সবসময় গুরুত্ব দিয়ে দেখেছে আওয়ামী লীগ সরকার, অতীতে শিক্ষাখাতে বিজ্ঞানে উৎসাহ ছিল না শিক্ষার্থীদের, তবে বিজ্ঞান ও গবেষণা ছাড়া কোনো জাতি এগিয়ে যেতে পারে না। তাই জ্ঞান ও দক্ষতা বাড়াতে আধুনিক শিক্ষানীতি প্রণয়ন করেছে সরকার।
উন্নয়ন পরিকল্পনা সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের সব বিভাগে একটি করে নভোথিয়েটার নির্মাণ করা হবে, আর বিজ্ঞান ও গবেষণার মাধ্যমে যাতে মানবকল্যাণ নিশ্চিত করা যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে দেশের গবেষকদের। শিল্প কলকারখানায় গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগকে কার্যকর করতে হবে এ কথা উল্লেখে করে তিনি বলেন, সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে কাজ করা হয়েছে বলেই, দেশ আজ স্বল্পোন্নত কাতার থেকে উন্নয়নশীল স্তরে উন্নীত হতে পেরেছে। উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবেই। করোনা যেহেতু থামাতে পারেনি আশা করি, বাংলাদেশকে কেউই থামিয়ে রাখতে পারবে না।
আরও পড়ুন : সমালোচনা করে বিএনপিকে বাঁচিয়ে রেখেছে আওয়ামী লীগ : মির্জা ফখরুল
ভয়েস টিভি/ডি