করোনা মহামারির মধ্যে গণতান্ত্রিক সূচকে অনেক বড় বড় দেশের অবনতি ঘটেছে। তবে এ সূচকে এগিয়েছে বাংলাদেশ। আগের বছরের তুলনায় ২০২০ সালের গণতান্ত্র সূচকে বাংলাদেশের চার ধাপ উন্নতি হয়েছে। এখন বাংলাদেশের অবস্থান ৭৬। ইকনোমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (ইআইইউ) প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে নরওয়ে। আর পার্শ্ববর্তী ভারত রয়েছে ৫৩তম অবস্থানে। এ তালিকায় পাকিস্তান রয়েছে ১০৫তম স্থানে।
৫ মানদণ্ডে কোনো দেশের গণতন্ত্র পরিস্থিতি বিচার করে থাকে ইআইইউ। এসব মানদণ্ড বিবেচনায় ৩ ফেব্রুয়ারি বুধবার ১৬৫ দেশের একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে সংস্থাটি।
সেখানে ৫ দশমিক ৯৯ স্কোর নিয়ে ইআইইউর গণতন্ত্র সূচকে বাংলাদেশ এবার রয়েছে ৭৬তম অবস্থানে।
২০১৯ সাল শেষে এই সূচকে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৫ দশমিক ৮৮। তার আগের বছর ৫ দশমিক ৫৭। ২০১৯ সাল শেষে আট ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ উঠে এসেছিল ৮০তম অবস্থানে।
ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট ২০০৬ সালে যখন প্রথম এই সূচক প্রকাশ করে, তখন বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৬ দশমিক ১১। সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৮ সালে তা এক ধাক্কায় ৫ দশমিক ৫২ পয়েন্টে নেমে যায়। তার পর থেকে এ বছরই গণতন্ত্র সূচকে সবচেয়ে বেশি স্কোর পেয়েছে বাংলাদেশ।
অন্যদিকে ২০২০ সালে এই সূচকে পুরো বিশ্বের গড় স্কোর আগের বছরের ৫ দশমিক ৪৪ থেকে কমে ৫ দশমিক ৩৭ হয়েছে। ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট বলছে, ২০০৬ সালে সূচক প্রকাশের পর থেকে এটাই সবচেয়ে বাজে স্কোর।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের গণতন্ত্রের দশার এই অবনমনের পেছনে মহামারীর মধ্যে দেশে দেশে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপের বিষয়টি বড় ভূমিকা রেখেছে।
২০২০ সালের এই সূচক বলছে, বিশ্বের মোট জনসংখ্যার অর্ধেক (৪৯ দশমিক ৪ শতাংশ) এখন গণতন্ত্র অথবা আংশিক গণতন্ত্র ভোগ করছে। এর মধ্যে পূর্ণ গণতন্ত্র উপভোগ করছে মাত্র ৪ দশমিক ৮ শতাংশ মানুষ।
ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট বলছে, গণতন্ত্রের জন্য এই বাজে বছরেও বাংলাদেশ, ভুটান, পাকিস্তানসহ এশিয়ার কিছু দেশের স্কোরে উন্নতি হয়েছে।
নির্বাচনী ব্যবস্থা ও বহুদলীয় অবস্থান, সরকারে সক্রিয়তা, রাজনৈতিক অংশগ্রহণ, রাজনৈতিক সংস্কৃতি এবং নাগরিক অধিকার- এই পাঁচ মানদণ্ডে একটি দেশের পরিস্থিতি বিবেচনা করে ১০ ভিত্তিক এই সূচক তৈরি করে ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট।
ভয়েস টিভি/এসএফ