Home খেলার খবর মাশরাফির গান আর সাকিবের নাচে মাতোয়ারা ক্রিকেটাররা

মাশরাফির গান আর সাকিবের নাচে মাতোয়ারা ক্রিকেটাররা

by Newsroom
গান

‘বাবা তোমার দরবারে সব পাগলের খেলা’ এ গান ধরলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা, সঙ্গে গলা মেলালেন মাহমুদউল্লাহ, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিমরা। নৃত্যে পাওয়া গেল সাকিব আল হাসানকে।

১১ ডিসেম্বর শুক্রবার রাতে হোটেল সোনারগাঁয়ে বারবিকিউ পার্টিতে এভাবেই নাচে-গানে মেতে ওঠেন বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা।

খেলা না থাকলে এসব সময়ে হোটেল ছেড়ে পরিবারের কাছে চলে যান তারা। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে সে উপায় নেই। থাকতে হচ্ছে জৈব সুরক্ষিত বলয়ে। আর এই হোটেলবন্দি সময়টা আরও আনন্দ মুখর করে রাখলেন ম্যাশ, মুশি, মাহমুদুল্লাহ, সাকিবসহ সিনিয়র ক্রিকেটাররা।

বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে অংশ নেওয়া পাঁচ দলের ক্রিকেটারদেরই রাখা হয়েছে হোটেল সোনারগাঁয়ে। শুক্রবার রাতে সেখানেই আয়োজন করা হয় বারবিকিউ পার্টির। শনিবারের খেলার পর যেকোনো একদল টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেবে ।

তার আগেই তাই সবাই মিলে একটা জম্পেশ মেলবন্ধনের সুযোগ নিল ওই রাতেই। তাদের সেই আনন্দঘন সময়ের ছবি, ভিডিও ঘুরছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

গান

সেই আয়োজনে এক পর্যায়ে মঞ্চে আসেন বাংলাদেশের ক্রিকেটের পঞ্চপাণ্ডব- মাশরাফি মর্তুজা, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

রুবেল হোসেনের পোস্ট করা ভিডিওতে মাশরাফিকে দেখা যায় মুখ্য ভোকালের ভূমিকায়। জনপ্রিয় ব্যান্ড তারকা জেমস মাশরাফির ভীষণ পছন্দের গায়ক। তার ‘বাবা’ গানটি ধরেন তিনি। সাকিবকে বলতে শোনা যায়- ‘এই গান তো আমি পারি না ভাই।’

এই গানের পরই সাকিবের পছন্দ অনুযায়ী মাশরাফি ধরেন , ‘বাবা তোমার দরবারে সব পাগলের মেলা।’ সাকিবের তখন শুরু হয়ে গেছে নৃত্য। অন্যরাও সামিল হন তাতে।

নাচ-গানে আনন্দে মাততে দেখা গেছে যুব বিশ্বকাপ জয়ী ক্রিকেটার আকবর আলিদেরও। বাদ যাননি কোচেরা। মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, সারওয়ার ইমরানরা মিলেয়েছেন তাল।

ক্রিকেটাররা জানান সন্ধ্যা ৭টার দিকে শুরু হয় আনন্দঘন এই আয়োজন। শেষ হয় রাত ১০টায়। পুরোটা সময় প্রাণখোলা হাসি, গান আর নাচে মাতোয়ারা ছিলেন তারা। পরে নিজের ফেসবুকেও সেই রেশ রেখছেন মাশরাফি।

বাংলাদেশের অনেক সাফল্যের কাণ্ডারি ভালোবাসা জানিয়েছেন সবাইকে, ‘ভালো লাগা ভালোবাসা এক না…রিয়াদ—খেলা হবে! কোচ, ফিজিও, ট্রেনার, কম্পিউটার স্পেশালিস্ট, ম্যানেজার, টিমবয়, ম্যাসিওর এবং সব খেলোয়াড়…অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী দল, বাংলাদেশের অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ। ভালোবাসা।’

গান

জৈব সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে ক্রিকেটারদের সময়টা অন্যরকম করার চেষ্টা করতে দেখা গেছে আগেও। হোটেলে ফিরে বিভিন্ন রকমের ইভেন্ট করে সময়টা পার করতে চেয়েছেন তারা।

করোনাভাইরাসের থাবার পর হওয়া যেকোনো ধরণের ক্রিকেট আসরেই মানা হয় কড়া সুরক্ষা বলয়। করোনা পরীক্ষা করিয়ে সেখানে প্রবেশের পর টুর্নামেন্ট শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত আর বেরুনোর সুযোগ নেই।

একদিন বিরতি রেখে ম্যাচ থাকায় সবদিন অনুশীলনও থাকে না দলগুলোর। কিন্তু বিশ্রাম দিলেও পরিবারের কাছে যাওয়ার সুযোগ নেই। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর বাইরে অবশ্য বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের অবসর বিনোদন সীমিত।

এই সুরক্ষা বলয় সেদিক থেকে তাদের কাছে একটা আশীর্বাদও হতে পারে। এক সঙ্গে দেশের শীর্ষ ক্রিকেটারদের এমন নিখাদ আনন্দ আড্ডা হয়ত খুব সহসা আর নাও হতে পারে।

বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে শনিবার হবে লিগ পর্বের শেষ দুই ম্যাচ। এরপরই প্লে অফ রাউন্ড। সেখানে তিন ম্যাচের পর বাকি থাকছে কেবল ফাইনাল।

আরও পড়ুন : অপেক্ষার প্রহর শেষ; আজ থেকে মাঠে ফিরছেন সাকিব আল হাসান

ভয়েস টিভি/এমএইচ

You may also like