Home সারাদেশ প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহরে হামলা : আওয়ামী লীগের আনন্দ ও বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল

প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহরে হামলা : আওয়ামী লীগের আনন্দ ও বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল

by Newsroom
গাড়িবহরে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা মামলার প্রধান আসামী বিএনপির সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৫০ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। রায়কে ঘিরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীরা পাল্টাপাল্টি মিছিল ও শোডাউন করেছে।

আওয়ামী লীগের অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠণের নেতাকর্মীরা আনন্দ মিছিল করে মিষ্টি বিতরণ করেছেন। অন্যদিকে বিএনপির নেতাকর্মীরা রায়কে প্রত্যাখান করে শহরে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল দিয়ে উত্তাল করে তুলেছেন শহর।

৪ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় সাতক্ষীরা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রট আদালতের বিচারক মো. হুমায়ুন কবীর আসামীদের মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ের পর তারা পৃথকভাবে এ কর্মসূচি পালন করে।

আওয়ামী লীগের আনন্দ মিছিলে অংশ নেন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাতক্ষীরা-৩ আসনের সাংসদ ডা. আফম রুহুল হক এমপি, সাতক্ষীরা-৪ আসনের সাংসদ এসএম জগলুল হায়দার, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামসহ বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা। মিছিল শেষে তারা মিষ্টি বিতরণ করেন।

মামলায় সাতক্ষীরা-১ আসনের সাবেক সাংসদ, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বর্তমান কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম হাবিব, বিএনপি নেতা রিপন ও আরিফকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। বাকি ৪৭ আসামীকে দেয়া হয়েছে বিভিন্ন মেয়াদের সাজা।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডিশনাল অ্যাটনি জেনারেল মুনির হোসেন জানান, এই রায়ের মাধ্যমে সাতক্ষীরা আজ কলঙ্কমুক্ত হয়েছে। এই রায়ে আমরা সন্তোষ প্রকাশ করছি।

গাড়িবহরে

অন্যদিকে, আসামী পক্ষের আইনজীবী সাহানারা পারভীন বকুল জানান, হাবিবুল ইসলাম হাবিব ঘটনার দিন সাতক্ষীরাতেই ছিলেন না। আমরা পর্যাপ্ত ডকুমেন্ট আদালতে উপস্থাপন করার পরও উদ্দেশ্যমুলকভাবে এই রায় দেয়া হয়েছে। আমরা ন্যায় বিচার পাইনি। ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করতে এই রায় দেয়া হয়েছে। মামলার রায়ে উচ্চ আদালতে আপীল করা হবে। উচ্চ আদালতে আমরা অবশ্যই ন্যায় বিচার পাবো বলে আশাকরি।

মামলার রায়কে কেন্দ্র করে সকাল ১০টার দিকে সাতক্ষীরা জেলা কারাগার থেকে ৩৪ আসামীদের আনা হয় সাতক্ষীরা আদালতে। এরপর রায় ঘোষনা শেষে সাড়ে ১০টার দিকে পুনরায় আসামীদের কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

কারাগারে নেয়ার সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব বলেন, আমি নির্দোষ। রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করতে এই রায় দেয়া হয়েছে। আপনারা আমার জন্যে দোয়া করবেন। আমি ন্যায় বিচার পাইনি।

এর আগে ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ধর্ষণের শিকার এক মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে দেখতে আসেন তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ফেরার পথে কলারোয়া উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে পৌঁছালে গাড়িবহরে বোমা হামলা ও গুলি চালায় বিএনপির নেতাকর্মীরা।

হামলায় সাবেক সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমান ও বেশ কয়েকজন সাংবাদিক আহত হন। এ ঘটনায় কলারোয়া উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোসলেম উদ্দিন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৫০ জনকে আসামি করে আদালতে চার্জশীট প্রদান করে কলারোয়া থানা পুলিশ।

ভয়েস টিভি/এমএইচ

You may also like