কণ্ঠের উন্মাদনায় ঘর ছেড়েছে বহু না জানা প্রেমিকা, বিরহে কাতর প্রেমিকের বুকফাটা আর্তনাদে বেরিয়ে এসেছে, ‘আমি তারায় তারায় রটিয়ে দেবো তুমি আমার’।
কখনো গান গেয়ে বাবা-মায়ের প্রতি সন্তানকে করেছে আরও নমনীয়, কোমল।বলছিলাম এ উপমহাদেশের অন্যতম সেরা রকস্টার জেমসের কথা। এদেশের রক গানের ভক্তদের কাছে তিনি পরিচিত গুরু হিসেবে।
পুরো নাম ফারুক মাহফুজ আনাম জেমস। দেশ ছাড়িয়ে আর্ন্তজাতিক অঙ্গনে নগরবাউল জেমস নামেই তার অধিক পরিচিত। আজ তার জন্মদিন। ৫৬ বছর বয়সে পা রাখলেন এই রক লিজেন্ড।
এই রকস্টারের জন্ম ১৯৬৪ সালে, নওগাঁয়। বেড়ে ওঠা এবং সংগীতে জড়িয়ে পড়ার পুরোটাই চট্টগ্রামে। নগর বাউল জেমসের বাবা ছিলেন সরকারি কর্মকর্তা। যিনি পরবর্তীতে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
পরিবারের একরকম দ্বিমতে সংগীতচর্চা শুরু করেন জেমস। একসময় তিনি সংগীতের জন্য ঘর ছেড়ে পালিয়ে যান। উঠেন চট্টগ্রামের আজিজ বোর্ডিং-এ। সেখানে থেকেই তার সংগীতের মূল ক্যারিয়ার শুরু হয়।
জেমস ১৯৮০ সালে প্রতিষ্ঠা করেন ব্যান্ড ‘ফিলিংস’। ১৯৮৭ সালে প্রথম অ্যালবাম ‘ষ্টেশন রোড’ প্রকাশ পায়। ১৯৮৮ সালে ‘অনন্যা’ নামের একক অ্যালবাম প্রকাশ করে সুপারহিট হয়ে যান জেমস।
এরপর ১৯৯০ সালে ‘জেল থেকে বলছি’, ১৯৯৬ ‘নগর বাউল’, ১৯৯৮ সালে ‘লেইস ফিতা লেইস’, ১৯৯৯ সালে ‘কালেকশন অফ ফিলিংস’ অ্যালবামগুলো ফিলিংস ব্যান্ড থেকে বের হয়।
এছাড়াও জেমসের অন্যান্য অ্যালবামগুলো হল নগর বাউল থেকে ‘দুষ্টু ছেলের দল’, ‘বিজলি’। একক অ্যালবাম ‘অনন্যা’, ‘পালাবি কোথায়’, ‘দুঃখিনী দুঃখ করোনা’, ‘ঠিক আছে বন্ধু’, ‘আমি তোমাদেরই লোক’, ‘জনতা এক্সপ্রেস’, ‘তুফান’, ‘কাল যমুনা’।
বেশ কিছু চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক করেও সফল তিনি। চলচ্চিত্রে সুপারহিট হয়ে আছে বেশ কয়েকটি গান। ‘দেশা দ্য লিডার’, ‘সত্তা’ ছবির জন্য গান করে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি।
শুধু দেশেই নয়, আর্ন্তজাতিক পরিমণ্ডলেও ব্যাপক জনপ্রিয় নগরবাউল ব্যান্ডের এই তারকা। হিন্দি গানেও কণ্ঠ দিয়ে জয় করেছেন লক্ষ ভক্ত শ্রোতার হৃদয়।
বলিউড সিনেমায় তার গাওয়া ভিগি ভিগি গানটি ব্যপক জনপ্রিয়তা পায়। এছাড়াও রিশতে, আলবিদা, চল চলে, বেবাসি, ও লামহে গানগুলো উল্লেখযোগ্য
ভয়েস টিভি/টিআর
