Home জাতীয় চট্টগ্রামের পাঠানটুলির বিদ্রোহী প্রার্থী কাদেরসহ গ্রেফতার ১৯

চট্টগ্রামের পাঠানটুলির বিদ্রোহী প্রার্থী কাদেরসহ গ্রেফতার ১৯

by Amir Shohel

চট্টগ্রাম নগরের ডবলমুরিং থানার পাঠানটুলিতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত ও বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে গোলাগুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে একজনের মৃত্যুর ঘটনায় চট্টগ্রামের ২৮ নং পাঠানটুলি ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আবদুল কাদেরসহ ১৯ জনকে আটক করেছে গ্রেফতার করা হয়েছে।

১২ জানুয়ারি মঙ্গলবার দিবাগত রাত সোয়া ১২টায় তাকে গ্রেফতার করে ডবলমুরিং থানা পুলিশ ও নগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল।

আবদুল কাদেরকে গ্রেফতারের বিষয়টি ভয়েস টেলিভিশনকে নিশ্চিত করেছেন ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সদীপ কুমার দাশ। তিনি জানান ডিবি ও পুলিশের যৌথ অভিযানে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাহাদুর বাদি হয়ে মামলা দায়ের করছেন বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। তবে মঙ্গলবার রাতের ঘটনায় রাত ২টায় রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলা রেকর্ড হয়নি।

কাদেরের সাথে আরো ১৮ জনকে গ্রেফতার কথা জানিয়েছেন গোয়েন্দা পুলিশের একটি সুত্র। সংঘর্ষের পর মোগলটুলী এলাকার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

সূত্র জানিয়েছে, কাউন্সিলর প্রার্থী মো. আবদুল কাদেরসহ আটক ১৯ জনকে মনসুরাবাদে গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে নিয়ে রাখা হয়েছে। আটক অন্যদের মধ্যে রয়েছে হেলাল উদ্দিন, রাজু, রিমন, খোকন। আবদুল কাদের প্রকাশ মাছ কাদের ২৮ নং পাঠানটুলি ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর।

মঙ্গলবার রাতে আওয়ামী লীগের মনোনীত কাউন্সিলর প্রার্থী বাহাদুরের নির্বাচনি প্রচারণায় হামলার ঘটনায় একজন নিহত হয়। এই ঘটনায় আরও একজন গুলিবিদ্ধ হয়৷ ঘটনার পরপরই পুলিশ তৎপর হয়ে তাকে নিজ বাসা থেকে গ্রেফতার করে।

রাত আনুমানিক ৮টার দিকে ২৮ নম্বর পাঠানটুলি ওয়ার্ডের মগপুকুর পাড় এলাকায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাহাদুর এবং বিদ্রোহী আবদুল কাদেরের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলি শুরু হয়। একপর্যায়ে দুজন গুলিবিদ্ধ হলে একজন মারা যান।

নজরুল ইসলাম বাহাদুর চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য এবং পাঠানটুলি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী। ২০১০ সালে তিনি ওয়ার্ড কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০১৫ সালে নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী আবদুল কাদেরের কাছে তিনি পরাজিত হয়েছিলেন।

জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ মনোনীত কাউন্সিলর প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাহাদুর বলেন, আমি মোগলটুলি এলাকায় গণসংযোগ করছিলাম। সেখানে আমি মেয়র প্রার্থী রেজাউল ভাইয়ের নির্বাচনী কার্যালয়ে কিছুক্ষণ বসি। পরে আমি নজির ভাণ্ডার লেইনে গণসংযোগ করতে যাই। হঠাৎ করে বৃষ্টির মতো গুলি শুরু করে সন্ত্রাসীরা। আবদুল কাদেররের উপস্থিতিতে সন্ত্রাসীরা আমাদের ওপর হামলার পাশাপাশি গুলিবর্ষণ করে। আমাকে বাঁচাতে গিয়ে বাবুল নামে আমার একজন কর্মী নিহত হয়েছেন। মাহবুব নামে আমার আরেকজন কর্মী আহত হয়েছেন।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বরত পরিদর্শক জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া ভয়েস টেলিভিশনকে বলেন, এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ দুইজনকে হাসপাতালে নেওয়া হলে মো. আজগর আলী বাবুল (৫৫) নামে একজন মারা যান।

চট্টগ্রাম নগর পুলিশের (সিএমপি) উপ-কমিশনার (পশ্চিম) ফারুক-উল-হক বলেন, দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে আজগর আলী বাবুল (৫৫) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে এবং মাহবুব নামের এক যুবলীগ কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এলাকায় আমি নিজে উপস্থিত আছি, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে।

ভয়েসটিভি/এএস

You may also like