‘চল চল ভাসানচর চল’ স্টিকারযুক্ত ছোট-বড় বিভিন্ন ধরনের যানবাহনে কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গাদের নেয়া হচ্ছে চট্টগ্রাম। সেখান থেকে নৌপথে পাঠানো হবে নোয়াখালীর ভাসানচর আশ্রয়কেন্দ্রে। এ যাত্রায় মোট ভাসানচড়ে নেয়া হচ্ছে তিন হাজার রোহিঙ্গা।
২৮ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠ থেকে রোহিঙ্গাদের নিয়ে ১৭টি যানবাহন সারিবদ্ধভাবে ভাসানচরের উদ্দেশে চট্টগ্রাম রওনা দিয়েছে। এতে রয়েছে সাড়ে ৮ শর মতো রোহিঙ্গা। রাত ৮টা নাগাদ পরিবহনগুলো চট্টগ্রামে পৌঁছাবে।
বিকেলের দিকে আরও কিছু বাসে হাজার খানেক রোহিঙ্গার চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা আছে। আগামীকাল শুক্রবার দ্বিতীয় দফায় আরও দেড় হাজার রোহিঙ্গাকে উখিয়া থেকে চট্টগ্রাম পাঠানো হবে। এরপর চট্টগ্রাম থেকে নৌবাহিনীর জাহাজে তিন হাজার রোহিঙ্গাকে নৌপথে ভাসানচরে নেয়া হবে।
নোয়াখালীর ভাসানচরের উদ্দেশে চট্টগ্রামে তৃতীয় দফায় (প্রথম অংশে) সাড়ে আট শতাধিক রোহিঙ্গা রওনা হওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ সামছুর-দ্দৌজা নয়ন। তিনি বলেন, দুদিনে (বৃহস্পতি ও শুক্রবার) ভাসানচরে পাঠানোর জন্য অন্তত তিন হাজার রোহিঙ্গা প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
গত বছরের ৪ ও ২৯ ডিসেম্বর দুই দফায় ৩ হাজার ৪৪৬ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। এর মধ্যে ৮০১ জন পুরুষ, ৯৮৭ জন নারী এবং ১ হাজার ৬৫৮টি শিশু। তার আগে গত বছরের মে মাসে অবৈধভাবে সাগরপথে মালয়েশিয়া যেতে ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসা ৩০৬ রোহিঙ্গাকে ভাসানচর নিয়ে যায় সরকার।
উখিয়ার তানজিমারখোলা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা আবদুল কাদের (৫০) বলেন, তাদের শিবির থেকে আজ সকালে ভাসানচরে যাওয়ার জন্য দেড় শতাধিক নারী-পুরুষ ও শিশু উখিয়া কলেজ মাঠে গেছে। ভাসানচরে থাকা-খাওয়ার সুব্যবস্থার কথা শুনে কক্সবাজারের রোহিঙ্গারা সেখানে যেতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
ভয়েস টিভি/এসএফ