Home সারাদেশ চরভদ্রাসন উপজেলার নির্বাচন বাতিল

চরভদ্রাসন উপজেলার নির্বাচন বাতিল

by Newsroom
চরভদ্রাসন

ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা পরিষদের চেযারম্যান পদের উপনির্বাচন বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। ০৬ ডিসেম্বর রোববার সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশনার সচিবালয়ের এক আদেশে এ কথা জানা গেছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান রোববার রাতে বলেন, নির্বাচন কমিশনারের নির্দেশক্রমে উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ কথা জানা গেছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে ফরিদপুর জেলার চরভদ্রাসন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের শূন্য পদে ১০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত উপ-নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত করার জন্যে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিট গঠন করা হয়। কমিটি তদন্ত শেষে নির্বাচন কমিশনারের নিকট প্রতিবেদন পেশ করেন।

তদন্ত প্রতিবেদনে নির্বাচন পরিচালনায় অনিয়ম সংঘটিত হওয়ার বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় নির্বাচন কমিশন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা ২০১৩ এর বিধি ৮৮ অনুসারে বাতিল করা হয়েছে। নতুন নির্বাচনের তারিখ পরবর্তিতে ঘোষণা করা হবে।

জানা গেছে, গত বছরের ২৩ অক্টোবর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোশারফ হোসনে মুসার মৃত্যুর কারণে পদটি শূন্য হয়ে যায়। গত ১০ অক্টোবর শূন্য পদে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ ওঠে। ভোটের আগের দিন রাতে ব্যালট পেপারে সিল মেরে বাক্সে ভরে রাখার অভিযোগে ১৫ নম্বর চরভদ্রাসন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের নির্বাচন শুরুতেই স্থগিত করা হয়।

এছাড়া নির্বাচনের দিন একটি কেন্দ্রে জাল ভোট দেয়ার চেষ্টার ঘটনায় আওয়ামী লীগ প্রার্থীর এক সমর্থককে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আটক করে। এর প্রতিবাদ জানিয়ে ফরিদপুর-৪ আসনের সাংসদ মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন চরভদ্রাসনের ইউএনও জেসমিন সুলতানাকে মুঠোফোনে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন সাংসদ।

নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর রাত ৮টার দিকে চরভদ্রাসন উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে বক্তব্যে দেন সাংসদ নিক্সন। সেখানে তিনি ১২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে নিয়োগ দেয়ার ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে জেরা প্রশাসককে ‘রাজাকার’ আখ্যায়িত করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন।

নির্বাচনে অনিয়ম ও লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে গত ১৫ অক্টোবর চরভদ্রাসন থানায় মামলা করে নির্বাচন কমিশন। এছাড়া তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

১০ অক্টোবরের ওই নির্বাচনে পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। এতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. কাউছার নির্বাচিত হন।

তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ওবায়দুল বারি বলেন, এতে প্রমাণিত হয়েছে ওই নির্বাচনে জালিয়াতি হয়েছে। আমাদের দাবি দ্রুত আবার নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হোক। সবাই যেন নির্ভয়ে ভোট দিতে পারে এমন একটি পরিবেশ তৈরি করা হোক।

আরও পড়ুন : গোপালপুর-মৈনট নৌরুটে নাব্য সংকটে দুর্ভোগ যাত্রীদের

ভয়েস টিভি/এমএইচ

You may also like